৫ ঘণ্টা পর সড়ক ও রেলপথ থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে আন্দোলনরত তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফলে ওই এলাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

সোমবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা, বিকেল ৪টার পর ফিরে যান তারা।

জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য শিক্ষার্থী প্রতিনিধিদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডাকা হয়। ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যান। প্রতিনিধি দলে আছেন— মেহেদী হাসান, মাহামুদুল হাসান, জাহাঙ্গীর সানি, আমিনুল, নুর উদ্দিন জিসান, কাউসার আহমেদ, মোশারফ হোসেন, তোহা, নুর মোহাম্মদ, হাবিব উল্লাহ রনি, আব্দুল হামিদ এবং নিরব হোসেন।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠকের পর পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে বেলা ১১টার দিকে মিছিল বের করেন সরকারি তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালী রেলক্রসিং এলাকায় অবস্থান নেয়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নোয়াখালী থেকে ঢাকায় আসা আন্তঃনগর ট্রেন উপকূল এক্সপ্রেস শিক্ষার্থীদের অবরোধ উপেক্ষা করে কমলাপুরের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হয়। ট্রেনটিকে শিক্ষার্থীরা থামানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ঢিল ছুড়তে শুরু করেন। এ সময় নারী শিশুসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। পরে ট্রেনটি গতি কমিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা।

দাবিগুলো হলো —

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ৭ কলেজ থেকে তিতুমীর কলেজকে পৃথক (আলাদা) করতে হবে।

২. তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের লক্ষ্যে কমিশন গঠন করতে হবে।

৩. তিতুমীরকে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।

আরএইচটি/এমএ