সীমান্ত হত্যায় ভারতীয় গণমাধ্যমের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন
সীমান্ত হত্যা নিয়ে বাংলাদেশের গণমাধ্যম সরব থাকলেও ভারতীয় গণমাধ্যমের অবস্থান তার বিপরীতে। তবে কোনোভাবে সীমান্ত হত্যা কাম্য নয়। এ সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ ও ভারতকে উদ্যোগ নিতে হবে।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনের এক অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা বলেন, দুদেশের অনেক সাফল্য রয়েছে, সমস্যাও আছে। সীমান্ত সমস্যা সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকার ও ভারত সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে।
আরও পড়ুন
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ)-এর আয়োজন করেছে। সম্মেলনে
'ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের জটিলতার গতিপথ'-শীর্ষক এক অধিবেশনের আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।
বক্তারা তিস্তা প্রসঙ্গ নিয়েও কথা বলেন। তারা বলেন, তিস্তার সমাধান হতে হবে। এ সমস্যার সমাধানে রাজনৈতিক সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে।
ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরানোর প্রসঙ্গও উঠে আসে। বাংলাদেশি এক বক্তা ভারতীয় এক বিশেষজ্ঞের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরানোর পরামর্শ চাইলে ভারতের প্রতিনিধি বলেন, শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকার এখনো ফেরত চায়নি। তাকে ফেরত দিতে প্রসিডিউর ফলো করা উচিত।
অধিবেশনে বক্তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু শুধু বাংলাদেশের নয়, ভারতেরও নিরাপত্তা ইস্যু। এ সংকট সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।
অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আলী রিয়াজ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, নিউ এজ সম্পাদক নুরুল কবির, চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায়, যুক্তরাষ্ট্রের কোলগেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নবীন মুর্শিদ প্রমুখ।
ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক সেনা কমান্ডার অরুণ কে সাহনি, ভারতের ইনস্টিটিউট অফ গ্লোবাল স্টাডিজের সভাপতি অশোক সজ্জনহার, ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত, দ্যা হিন্দু পত্রিকার কূটনৈতিক সম্পাদক সুহাসিনী শেরিন হায়দার।
অধিবেশন সঞ্চালনা করেন সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো পারভেজ করিম আব্বাসি।
এনআই/এমএসএ