তৌহিদ হোসেন
বঙ্গোপসাগরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলাদা স্বার্থ রয়েছে
বঙ্গোপসাগরে ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ শিরোনামে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। বেসরকারি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) এ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
বিজ্ঞাপন
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বঙ্গোপসাগরকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে। অন্য নানা ইস্যুর পাশাপাশি রোহিঙ্গা ইস্যুর পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গোপসাগর বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বড় প্রতিবেশীর কাছ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ায় কথা তুলে ধরে তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রতিবেশীদের বিষয়টিকে আমি এভাবে দেখি যে, তাদের নিজেদের স্বার্থ আছে বলে আমাদের পাশে এসে সমস্যার সমাধান তারা করেনি। ফলে এ সমস্যা আমাদের জন্য বড় ধরনের বোঝা তৈরি করেছে। এটা শুধু বাংলাদেশের জন্যই হুমকি হয়ে থাকবে না, তা ছড়িয়ে পড়বে অন্যখানেও।
আরও পড়ুন
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে চীনের কাছে মিয়ানমার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে ভারত চিন্তা করেছে রাখাইনের কালাদান প্রকল্প তার উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর প্রবেশাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই এ প্রকল্পের জন্য ভারতের কাছে মিয়ানমারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখার কোনো বিকল্প নেই।
উপদেষ্টা বলেন, রোহিঙ্গা সংকট দীর্ঘায়ত হচ্ছে। শিগগিরই এবং খুব সহজে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান হবে বলে টানেলের শেষ প্রান্তে কোনো আলো দেখা যাচ্ছে না।
অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিনের অর্জন নিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, আমরা কি আসলেই কিছু অর্জন করিনি? এখন অবাধে অন্তর্বর্তী সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করতে পারছেন যে কেউ। এটা দেখে আমি অত্যন্ত খুশি। এই একটি বিষয় আমরা এরই মধ্যে অর্জন করেছি।
বেসরকারি গবেষণা-প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৪’ (বঙ্গোপসাগর সংলাপ) শিরোনামে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
এনআই/এসএসএইচ