সংবাদপত্রের আলোচিত খবর
শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
ব্যাংক দখল করে মানুষের জমানো টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে কিংবা সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা বের করা, বাণিজ্যের ছদ্মবেশে অর্থ পাচার, ঋণখেলাপিদের নানা সুবিধা দেওয়া, টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক টিকিয়ে রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ধস—ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে ছিল এই চিত্র। দায়িত্ব নেওয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারকে সবার আগে এই পচন থামাতে পদক্ষেপ নিতে হয়েছে, যথেচ্ছ অনিয়মের সুযোগ বন্ধ করতে হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলও এসেছে; কিন্তু সংকট পুরোপুরি কাটেনি।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
ব্যাংক ও আর্থিক খাতে যথেচ্ছ অনিয়মের সুযোগ বন্ধ, তবে সংকট কাটেনি
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলার–সংকটের আপাত সমাধান হলেও ব্যাংকিং খাতে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দূর করা যায়নি। বেসরকারি ৫-৬টি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা এখনো চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না। এই ব্যাংকগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি লুটপাটের শিকার হয়েছিল। এসব ব্যাংকে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু তাদের তারল্যসংকট দূর হয়নি।
কালবেলা
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গত ১৫ দিনে অন্তত চারটি নৃশংস হত্যা হয়েছে। হত্যার পর লাশ কখনো খণ্ড খণ্ড করে ঘটনাস্থল থেকে বেশ দূরে ফেলা হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রে রাখা হয়েছে ডিপ ফ্রিজে, আবার কোনো হত্যাকারী পুঁতে রেখেছে মাটির নিচে।
ঢাকা, সাভার, বগুড়া ও সিলেটের পৃথক চারটি ঘটনায় দেখা গেছে, মৃত্যু নিশ্চিত করার পর খণ্ড খণ্ড করা হয়েছে বা পুঁতে রাখা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জড়িতরা নিজেদের পরিচয় আড়াল করতে মরদেহ খণ্ড-বিখণ্ড করছে এবং বিভিন্ন জায়গায় ফেলছে, যাতে সহজে মরদেহ খুঁজে না পাওয়া যায় এবং জড়িতদের যেন শনাক্ত করা না যায়।
টিবিএস
কক্সবাজারের মহেশখালিতে দেশের প্রথম সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকার উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়া ছাড়াই চায়না পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে জিটুজি-ভিত্তিতে (গভর্নমেন্ট-টু-গভর্নমেন্ট) নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেছেন, চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এ কোম্পানির সঙ্গে প্রকল্পটি এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। তিনি দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'তবে এর মানে এমন নয় যে, আমরা উন্মুক্ত দরপত্র প্রক্রিয়া থেকে সরে আসছি।'
তিনি আরও জানান, এসপিএম দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় পড়ে রয়েছে। এটি আপাতত চীনা কোম্পানির মাধ্যমে চালু করা হবে। 'পরে আমরা আমাদের নিজস্ব লোকবলকে প্রশিক্ষণ দেব। কাজটি দ্রুত করার জন্যই জিটুজি পদ্ধতিতে যেতে হচ্ছে,' বলেন তিনি।
বণিক বার্তা
পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে তৎপরতা শুরু হলেও সাফল্য অজানা
তিউনিসিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে নিন্দিত স্বৈরশাসক জাইন এল আবিদিন বেন আলি ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন গণ-অভ্যুত্থানে। প্রায় দুই যুগ দেশটির ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকার পর ২০১১ সালে ‘জেসমিন বিপ্লবের’ মধ্য দিয়ে পতন ঘটে তার সরকারের। বেন আলি এবং তার পরিবার ও ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে তিউনিসিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ ছিল। পাচারকৃত এ অর্থ ফেরাতে উদ্যোগী হয় তিউনিসিয়ার বেন আলি-পরবর্তী সরকার। তবে অনেক পরিশ্রম ও বিপুল অর্থ ব্যয়ের পর এতে সাফল্য মিলেছে প্রত্যাশার তুলনায় সামান্য।
যুগান্তর
নির্বাচন ও সংস্কারের চাপ বাড়ছে
আকাঙ্ক্ষা ছিল এমন একটি দিনের; কিন্তু তা ছিল স্বপ্ন থেকেও বহুদূরে। ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট, বাংলাদেশের ইতিহাসে দখল করে নেয় শক্তিশালী অবস্থান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যাত্রা শুরু। বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে এ যাত্রার ১০০ দিন পার হয়েছে। এর মধ্যে কোনোটি দৃশ্যমান আবার কোনোটি অদৃশ্য চ্যালেঞ্জ। তবে সম্ভাবনাও ছিল বিশাল। প্রথমত, দেশের মানুষের নজিরবিহীন সমর্থন এবং দ্বিতীয়ত, উন্নয়ন সহযোগীসহ বহির্বিশ্বের সমর্থন ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতার আশ্বাস। কিন্তু আলোচ্য সময়ে সম্ভাবনার সবটুকু কাজে লাগানো যায়নি।
আরও পড়ুন
বণিক বার্তা
সেপ্টেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আটটি
দেশে গত সেপ্টেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের আটটি ঘটনা ঘটেছে। একই মাসে দেশে গণপিটুনিতে মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। আর রাজনৈতিক সহিংসতায় মারা গেছেন ১৮ জন।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত বৃহস্পতিবার এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
কালের কণ্ঠ
শিক্ষাঙ্গনে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি
আমাদের দেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় চার কোটি। এই খাতে এখনো শৃঙ্খলা ফেরেনি। নানা ইস্যুতে প্রায়ই আন্দোলনে নামছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায়ে শিক্ষাঙ্গন ছেড়ে তারা সড়কে নামছে।
একাধিকবার সচিবালয় ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়েছে। এমনকি শিক্ষা প্রশাসন এখনো ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়নি। ফলে মাঠ পর্যায়ের শিক্ষা ব্যবস্থাপনায়ও তেমন পরিবর্তন আসেনি। এভাবে শিক্ষাঙ্গনের সর্বত্র অস্থিরতা চলছে।
বণিক বার্তা
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের দৈনিক গড় আবেদন প্রায় ৫০ হাজার
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৫ নম্বর ছয়ানী ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. ওমর ফারুক। ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। কিছুদিন আগে তিনি জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন করার প্রস্তুতি নেন। তিনি দেখতে পান তার জন্ম নিবন্ধনপত্রে নামের বানান, গ্রাম ও জন্ম তারিখে ভুল রয়েছে। এগুলো সংশোধনের জন্য যান ইউনিয়ন অফিসে। সেখানে সংশোধনের আবেদন করা হলে সংশোধিত কপিতে নতুন ভুল দেখতে পান। এভাবে চারবার সংশোধনের পর তার জন্ম নিবন্ধন সঠিকভাবে লিপিবদ্ধ হয়। কিন্তু বারবার আবেদন করতে গিয়ে অতিরিক্ত ফি দেয়ার পাশাপাশি অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছে তাকে।
মানবজমিন
ফের দেশে ফিরে এলো গায়েবি মামলা। দীর্ঘ প্রায় ষোল বছর দেশে গায়েবি মামলায় জেল খেটেছেন হাজার হাজার বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মী। এতে একদলীয় শাসনের জাঁতাকলে পিষ্ট দেশের মানুষ ক্ষুব্ধ ও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এরই জের ধরে জুলাইয়ে কোটার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্ম হয়। ধীরে ধীরে তা তীব্র হয়। জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে সরকার। এর দায়ে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। হাসিনা দেশ থেকে পালালেও তার আমলে সৃষ্টি গায়েবি মামলা পালায়নি। বরং বর্তমান সময়ে এসে গায়েবি মামলা ফিরে আসার পাশাপাশি মামলা বাণিজ্যও বেড়েছে বহুগুণ। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডে দেশের বিভিন্ন থানায় মামলা করেন নিহতদের স্বজনরা।
বণিক বার্তা
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরেছেন বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশে অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীদের একটা বড় অংশ জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছিলেন। আন্দোলনের কারণে ক্যাম্পাস বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মূলত বাংলাদেশ ছাড়েন তারা। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসায় এসব বিদেশী শিক্ষার্থী আবার বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন।
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ১ হাজার ৯৫৭ বিদেশী শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। এছাড়া দেশের সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় অধ্যয়ন করছেন প্রায় ১০ হাজার বিদেশী শিক্ষার্থী।
আজকের পত্রিকা
বিক্ষোভের জের: পুলিশ থেকে প্রত্যাহার হলো আনসার
পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করেন সাধারণ আনসার বা অঙ্গীভূত আনসার সদস্যরা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে ঢাকায় প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘিরে সহিংস বিক্ষোভ করার পর অনেক আনসার সদস্যকে পুলিশ থেকে ধাপে ধাপে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সহিংসতায় জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা, সাময়িক বহিষ্কার, কালো তালিকাভুক্ত করা এবং ইস্যু করা অস্ত্র প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আনসার সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তাকারী এ বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া আইন উপদেষ্টা / গুম-অপহরণে জড়িতদের বিচার করা কঠিন; দীপু মনির ‘ছায়া মন্ত্রী’ ছিলেন ভিসি মশিউর; ভারতীয় গ্রিড ব্যবহার করে দেশে এলো নেপালের বিদ্যুৎ; জ্বালানি সংকটে সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো; যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা / প্রতিটি অফিসের কেরানি পর্যন্ত ফ্যাসিবাদের দোসর; ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণেই মেয়াদ শেষ প্রকল্পের—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।