খাদ্য অধিদপ্তরের মোটা চাল সংগ্রহ করে রাখেন তারা। পরে নিজেদের ইচ্ছেমতো মেশিনে চিকন চালে রূপান্তর করা হয়। এখানেই শেষ নয়— চিকন চালগুলো বাজারজাত করা হয় বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বস্তায়। এভাবে ভোক্তাদের ঠকিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেন।

চট্টগ্রাম নগরের পাহাড়তলীতে মেসার্স খাজা ভাণ্ডার নামে এক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ধরা পড়েছে এমন জালিয়াতি। এর দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), চট্টগ্রাম মেট্রোর কর্মকর্তারা এ অভিযান পরিচালনা করেন। 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানটি খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তার মোটা চাল নিজস্ব গুদামে মেশিনের সাহায্যে চিকন চালে রূপান্তর করে বিভিন্ন ব্রান্ডের চাল নাম দিয়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। পাশাপাশি তীর মার্কা সুপার চাল, প্রজাপতি মার্কা, নুরজাহান ব্রান্ড, চিংড়ি মাছ মার্কা, আপেল ব্র্যান্ডসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের নামে চাল বস্তায় ভরে বিক্রি ও গুদামজাত করে আসছিলো প্রতিষ্ঠানটি। সেইসঙ্গে চালের বস্তায় ওজনেও কম পাওয়া গেছে। 

এর আগে ১৩ নভেম্বর রাতেও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই), চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের দেওয়া তথ্যে গুদামটিতে অভিযান চালায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অসংগতি পাওয়ার পরও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা না থাকায় সেদিন বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হয়নি। পরে পাহাড়তলী থানা পুলিশের জিম্মায় রাখা হয় গুদামটি। পরবর্তীতে আজ বিকেলে ফের অভিযান চালিয়ে মেসার্স খাজা ভান্ডারের মালিক সাহাবুদ্দিন মিয়াকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আরএমএন/এমএসএ