রাজধানীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিন নেই রাত নেই, ঘরে কিংবা বাইরে, বাসা কিংবা অফিস সব জায়গায় মশার তাণ্ডব। ক্ষুদ্র এ পতঙ্গের যন্ত্রণায় রীতিমতো অতিষ্ঠ নগরবাসী। শুধু রাত নয়, দিনেও কয়েল জ্বালাতে হয়েছে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। ওষুধ বা স্প্রে, কিছুতেই ঠেকানো যায়নি মশার উপদ্রব।

এ অবস্থাতেও গত দেড় মাস যাবত মশার ওষুধ ছিটানো হতো না ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে। ওষুধ না ছিটিয়ে তা বিক্রি করে দিতেন সেখানে দায়িত্বরতরা। বিষয়টি জানতে পেরেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ফলে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিটি গঠন করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ বিষয়ে একটি দপ্তর আদেশ জারি করে ২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আর অভিযুক্ত ব্যক্তিরা দোষী বা নির্দোষ কি না তা উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সেই দপ্তর আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অঞ্চল ৯ এর আওতাধীন ৬৫ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে মশার ওষুধ না ছিটিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। অঞ্চল ৯ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা কর্তৃক মশার ওষুধ চুরিতে সহযোগিতা ও চুরির ঘটনায় ধামাচাপা দেওয়ার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, দুই সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে ডিএসসিসির সচিব মোহাম্মাদ বশিরুল হক ভূঁঞাকে এবং সদস্য করা হয়েছে ডিএসসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নিশাত পারভীনকে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এএসএস/এসএসএইচ