ক্ষমতাসীনদের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সহজ হবে না বলে জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংবিধান সংস্কার কমিশনের মতবিনিময় সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব তুলে ধরে সুজন। 

সভায় কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং কমিশনের সদস্য অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইকরামুল হক, ব্যারিস্টার এম মঈন আলম ফিরোজী ও ফিরোজ আহমেদ অংশগ্রহণ করেন।

সভায় সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাংবাদিক মাহফুজ আনাম ও মতিউর রহমান, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, ডা. জাহেদ উর রহমান, দিলীপ কুমার সরকার, মুফতি সাইফুল ইসলাম এবং মুফতী আব্দুল্লাহ মাসুম।

সভায় সুজনের পক্ষ থেকে উত্থাপিত প্রস্তাবে বলা হয়, বর্তমানে সংবিধানিক বিধান অনুযায়ী সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পূর্ববর্তী ৯০ দিনের মধ্যেই পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা বর্তমান সংসদ বহাল রেখেই। এই বিধান বহাল রেখেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ‘লেভেল প্লেইং ফিল্ড’ বা সবার জন্য সুযোগের সমতা নিশ্চিত করা দুরূহ হয়। কারণ, দলীয় সরকারের অধীনে সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীনরা বিশেষ সুবিধাজনক অবস্থানে থাকে। তাই অতীতে বাংলাদেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে, সেসবগুলোতেই ক্ষমতাসীনরা জয়ী হয়েছে। এ অবস্থায় সবচেয়ে স্বাধীন, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পক্ষেও প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সহজ হবে না।

এ সংক্রান্ত বিধানের পাশাপাশি আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরা হয়।

গত মঙ্গলবার সংবিধান সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, মুফতি আব্দুল মালেক (বায়তুল মোকাররম খতিব), খুশি কবির, সুব্রত চৌধুরী, মুসা আল হাফিজ, শাহিন আনাম, শহিদুল আলম এবং মুফতী সাখাওয়াত হোসাইন রাজী।

প্রথমদিনে বৈঠকে অংশ নেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম ইন বাংলাদেশ (এএলআরডি), বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি (বিএনডব্লিউএলএ), রিভার অ্যান্ড ডেল্টা রিসার্চ সেন্টার, উইমেন উইথ ডিজএবিলিটিস ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, ক্যাম্পেইন ফর পপুলার এডুকেশন, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা), নারীপক্ষ, বাংলাদেশ ইসলামিক ল' রিসার্চ অ্যান্ড লিগ্যাল এইড সেন্টার, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি, আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভ, বাঁচতে শেখা, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ ইনটেলেকচুয়াল মুভমেন্টের (বিআইএম) প্রতিনিধিরা।

এসআর/এমজে