বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সংস্কার নিয়ে ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়েছে কর্তৃপক্ষের। এর মধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে প্রতিযোগিতা কমিশন থেকে পদত্যাগ করেছেন সংস্থাটির তিন সদস্য।

তারা হলেন- প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান প্রদীপ রঞ্জন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন সালমা আক্তার, সদস্য হাফিজুর রহমান ও সদস্য সওদাগার মোস্তাফিজুর রহমান।

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ আইপি ফোরামের আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে প্রতিযোগিতা কমিশনের ব্যর্থতা ও কমিশনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ঢাকা পোস্টসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। এই সংবাদ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি এড়ায়নি। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চারজনকে পদত্যাগ করতে বলেন। গত সপ্তাহে কমিশন থেকে চারজন পদত্যাগ করেন। আমরা মনে করি এই পদত্যাগের মধ্যদিয়ে কমিশনের সংস্কার শুরু হবে। যোগ্য ও বিশেজ্ঞদের নিয়োগ দিয়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধে ভূমিকা রাখবে এই কমিশন।

গত ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে প্রতিযোগিতা কমিশনের সংস্কার নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আইনজীবীরা।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজিয়া কবির বলেন, সত্যিকার অর্থে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করার উদ্দেশ্যে প্রতিযোগিতা কমিশন আইন ২০১২ এর ৩৭ (২) ধারা অবিলম্বে বাতিলপূর্বক প্রতিযোগিতা আইন, ২০১২ সংস্কার করা জরুরি। তা নাহলে কমিশন ও সরকারের ওপর জনগণের এবং অংশীজনদের আস্থার সংকট বাড়বে।

প্রতিযোগিতা আইন বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ বলেন, আমি মনে করি দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে প্রতিযোগিতা কমিশনকে আইনে উল্লিখিত পন্থায় পুনর্গঠন করতে হবে।

তিনি বলেন, কমিশন একটি বিচারিক ক্ষমতাসম্পন্ন সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এ কমিশনে নেই আইন বিশেষজ্ঞ, নেই অর্থনীতিবিদ। বিশেষজ্ঞ জনবলের অভাবে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারছে না এই কমিশন। 

এর আগে ২৪ অক্টোবর ঢাকা পোস্টে ‘প্রতিযোগিতা কমিশনের আইনি কাঠামো সংস্কার চান বিশেষজ্ঞরা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এমএইচডি/এমজে