চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) নগরের লাভলেন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) মো. রইছ উদ্দিন জানান, হাজারী গলিতে যৌথবাহিনীর ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ইন্ধনদাতা সুমন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রজনতার ওপরে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

গত ৫ নভেম্বর ওসমান আলী নামের হাজারী লেনের এক ব্যবসায়ীর দেওয়া ইসকনবিরোধী ফেসবুক পোস্ট ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই পোস্টের প্রতিবাদে ওসমান ও তার ভাইকে অবরুদ্ধ করে রাখে শতাধিক হিন্দু ধর্মাবলম্বী। এই উত্তেজনার মধ্যে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের ছয়টি টহল দল ওই এলাকায় পৌঁছায়। যৌথ বাহিনী তাদের দুই ভাইকে উদ্ধার করে। আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টি সমাধান হবে বলে আশ্বস্ত করা হলেও কিছু ব্যক্তি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন।

একপর্যায়ে তারা জুয়েলারি কাজে ব্যবহৃত অ্যাসিড নিক্ষেপ করেন যৌথ বাহিনীর সদস্যদের ওপর। এতে সেনাবাহিনীর ৫ সদস্যসহ পুলিশের ১২ সদস্য আহত হন। তখন এক দল ব্যক্তি ইট ছুড়ে সেনাবাহিনীর একটি পিকআপ ভ্যানের উইন্ডশিল্ড ভেঙে ফেলে। পরে যৌথ বাহিনীর ১০টি টহল দল রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাজারী লেন এলাকায় যায়। তখনও একদল ব্যক্তি আবার তাদের ওপর অ্যাসিডসদৃশ বস্তু ছুড়তে শুরু করেন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এ সময় ৮২ জনকে আটক করে নিয়ে আসে যৌথ বাহিনী। তাদের মধ্যে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মোট গ্রেপ্তার ৫৩ জন। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় ৭ নভেম্বর রাতে কোতোয়ালি থানার এসআই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। একই দিন ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় পোস্ট শেয়ারকারী ওসমান আলীকে।

আরএমএন/এমএ