মানবাধিকার কমিশন আইন সংশোধনের প্রস্তাব
মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেকোনো ঘটনা তদন্ত ও প্রতিকারের লক্ষ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারা/উপধারা সংশোধনের প্রস্তাবনা পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে প্রেরণ করা হয়েছে। শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সরাসরি তদন্ত, সমনসহ পরোয়ানা জারির এখতিয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সংশোধনী প্রস্তাবে।
গত ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ কমিশনের ১১১ তম কমিশন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে জাতীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের মানদণ্ড সম্পর্কিত নীতিমালার (প্যারিস নীতিমালা) আলোকে সংশোধনী প্রস্তাব আজ মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
বিজ্ঞাপন
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সূত্রে জানা গেছে, শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি তদন্ত করার এখতিয়ার প্রাপ্তির লক্ষ্যে আইনের ১৮ ধারা বিলুপ্তি, ৭ (১) ধারাতে কমিশনের চেয়ারপারসন ও কমিশনারদের নিয়োগের জন্য বাছাই কমিটি ৭ সদস্যের স্থলে ৯ সদস্য সমন্বয়ে গঠন, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনিত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক এবং সুশীল সমাজের একজন প্রতিনিধি যিনি স্পিকার কর্তৃক মনোনীত হবেন এমন দুজন সদস্যকেও বাছাই কমিটিতে রাখার বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।
এ ছাড়া, কমিশনের সমন জারির পরও যদি কোনো ব্যক্তি কমিশনের সম্মুখে হাজির না হয়, তাহলে সেই ব্যক্তিকে কমিশনের সম্মুখে হাজির করার লক্ষ্যে কমিশন জামিনযোগ্য সাক্ষীর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করার ক্ষমতাসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে।
জেইউ/এমজে