প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানা এলাকায় ছয় বছরের এক শিশুর যৌনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশুটির সৎ মা এ কাজ করেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে। বর্তমানে ঢামেকের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি আছে সে।

শিশুটির বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর সাত মাস আগে সুমাইয়া নামে আরেক নারীকে বিয়ে করি। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার ছোট বোনের পিত্তথলির অপারেশন হবে, আমি ও আমার মা  সেখানে তাকে দেখতে যাই। বাসায় আসার পর মেয়ে আমার মায়ের কাছে ঘটনাটি জানায়। সে জানায় তার সৎ মা যৌনাঙ্গের ভেতরে আঙুল দিয়ে অনেক ব্যথা দিয়েছে। সেখান থেকে রক্ত বের হচ্ছে। কোনোভাবেই তার রক্তপাত বন্ধ হচ্ছিল না। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। সেখান থেকে আমাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, কী কারণে এই ছোট্ট শিশুটির সঙ্গে এই কাজ করল সেটি আমি ভেবে পাচ্ছি না। এ ঘটনায় আমার বাবা বাদী হয়ে কালিহাতী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।

ভুক্তভোগী শিশুটির চাচা খাদেমুল ইসলাম বলেন, মেয়েটা এত ছোট, কী এমন ক্ষতি করেছে যে তার সঙ্গে এই অন্যায় এবং জঘন্য কাজটি করতে হলো! আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুটি ঢাকা পোস্টকে বলে, আমি সন্ধ্যার সময় ঘুমিয়েছিলাম। আমার প্যান্টের ভেতরে তেলাপোকা ঢুকেছে বলে মা আমাকে অনেক ব্যথা দিয়েছে।

অভিযুক্ত সৎ মা সুমাইয়া কারাগারে থাকায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, রক্তাক্ত অবস্থায় ছয় বছরের এক শিশুকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এখন শিশু বিভাগের ২০৫ নম্বর ওয়ার্ডে আছে সে। বিষয়টি টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানা পুলিশ অবগত আছে।

এসএএ/এসএসএইচ