সংবাদপত্রের আলোচিত খবর
নাগরিকত্ব ছাড়ার হার বাড়ছে, ৮ বছরে ছেড়েছেন ২৬০৬
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বেক্সিমকো গ্রুপে ‘রিসিভার’ নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই রিসিভারের কাজ হবে গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. রুহুল আমিনকে রিসিভার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—
প্রথম আলো
বেক্সিমকোর ব্যবস্থাপনায় ‘রিসিভার’ নিয়োগ
গত ৫ সেপ্টেম্বর বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি সংযুক্ত করে তা ব্যবস্থাপনায় ছয় মাসের জন্য একজন রিসিভার নিয়োগ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি এখন কারাবন্দী। পোশাক রপ্তানি ও ওষুধ উৎপাদনে শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বেক্সিমকো।
দেশ রূপান্তর
শেখ হাসিনাকে ধরতে রেড নোটিস জারি হচ্ছে
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিদেশে থাকা পলাতকদের ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে ‘রেড নোটিস’ জারি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্র্বর্তী সরকারের আইন ও বিচার উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। গতকাল রবিবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সংস্কারকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘যে খুনিগোষ্ঠী জুলাই-আগস্টে গণহত্যা চালিয়েছে, যারা পালিয়ে আছে, তাদের ধরার জন্য আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিস জারি করতে যাচ্ছি। তারা যেখানেই থাকুক না কেন, আমরা তাদের গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে নিয়ে আসার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ ও সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করব।’
যুগান্তর
‘বকশিশ’র নামে হাতিয়ে নিয়েছে ৬০ কোটি টাকা
রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলেও চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগের বিতর্কিত ৫ হ্যান্ডলিং ঠিকাদার রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সরকার নির্ধারিত মজুরি ফির বাইরে ‘বকশিশ’র নামে তারা পরিবহণ ঠিকাদারদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন টাকা। গত ৬ বছরে ৪৬৮ জন পরিবহণ ঠিকাদারের কাছ থেকে নিয়েছে ৫০-৬০ কোটি টাকা! তাদের কাছে জিম্মি হয়ে আছেন পরিবহণ ঠিকাদাররা। তাদের কথাই যেন আইন। তাদের কথার বাইরে কেউ কাজ পাওয়া তো দূরে থাক কথা বলারও সাধ্য নেই। খাদ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রশ্রয়ে এসব ঠিকাদাররা এখনও বেপরোয়া।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের দুই সিএসডি (সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো), একটি সাইলো, চট্টগ্রাম জেলার ১৬টি এলএসডি (লোকাল স্টোরেজ ডিপো) ও কক্সবাজার জেলার ১০ এলএসডি (লোকাল স্টোরেজ ডিপো) ও খাগড়াছড়ি সদর এলএসডি হ্যান্ডলিং ঠিকাদার হিসাবে নিয়োজিত রয়েছে ৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-জয় কনস্ট্রাকশন, হাসান অ্যান্ড কোং, আসাদ ট্রেডিং, রাজ্জাক এন্টারপ্রাইজ ও তানজিলা এন্টারপ্রাইজ।
কালের কণ্ঠ
জিরো পয়েন্টে ঘেঁষতেই পারেনি আ. লীগ
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত দল আওয়ামী লীগ গতকাল রবিবার রাজধানীর জিরো পয়েন্টে নূর হোসেন চত্বরে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপে এই কর্মসূচি বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে দলটির নেতাকর্মীদের তেমন দেখা মেলেনি। পুরো এলাকায় শক্ত অবস্থানে ছিল বিএনপির নেতাকর্মীসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা।
জিরো পয়েন্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণজমায়েত থেকে বলা হয়, যত দিন গণহত্যার বিচার না হবে, তত দিন আওয়ামী লীগের জনসমক্ষে আসার অধিকার নেই।
আরও পড়ুন
সমকাল
পাচার অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ হচ্ছে
দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধারে আন্তর্জাতিক আইনি প্রতিষ্ঠান তথা ল ফার্ম নিয়োগ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ আজ রোববার এ বিষয়ে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। শিগগিরই ওই প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হবে। যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সহায়তা নেবে বাংলাদেশ।
এদিকে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার এবং অভিবাসন ব্যয় কমানোর জন্য সহায়তা চেয়ে সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রায় এক ঘণ্টার আলোচনায় অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে প্রচুর অর্থ পাচার হয়েছে।
কালের কণ্ঠ
দফায় দফায় ঋণের সুদহার বাড়ানোয় চরম সংকটে পড়েছে বেসরকারি খাত। ফলে ব্যবসা প্রসারসহ থমকে রয়েছে বিনিয়োগ। ব্যবসা ও বিনিয়োগে খরচ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে রয়েছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। তাঁরা বলছেন, দেশে এখন বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই।
বরং ব্যবসায়ীরা টিকে থাকার লড়াই করছেন। তথ্য-উপাত্ত বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে নীতি সুদহার বা রেপো রেট আরো ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করায় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে ব্যাংকঋণের সুদ। এতে ব্যাংকঋণের ওপর নির্ভরশীল ছোট, মাঝারি ও বড় ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এলসি খোলার হার কমেছে ৭ শতাংশ আর উৎপাদন কমেছে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত।
বণিক বার্তা
বড় প্রকল্পের আয়ে উঠছে না পরিচালন ব্যয় ভর্তুকি দিয়ে কিস্তি শোধ
কক্সবাজারে নতুন রেলপথ, ঢাকায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে টানেল ও পদ্মা সেতু সংযোগ রেলপথ চালু হয়েছে গত দুই বছরে। দেশের যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের মেগা এ চার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণের টাকায়। চালুর পর প্রকল্পগুলোর আয়-ব্যয়ের যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে দেখা যায়, আয় দিয়ে পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ই উঠছে না। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে ঋণ পরিশোধ ব্যয়। চার প্রকল্পে ঋণের পরিমাণ প্রায় ৫৬ হাজার কোটি টাকা। সুদ ছাড়া বার্ষিক গড় কিস্তি দিতে হচ্ছে ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। আয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান না হওয়ায় ঋণ পরিশোধে সরকারকে দিতে হচ্ছে ভর্তুকি।
যোগাযোগ অবকাঠামো খাতের বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবার আগে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের, ২০২২ সাল থেকে। প্রকল্পটির জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ঋণ দিয়েছে ৯ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, এ দায় পরিশোধ করতে হবে ২০ বছরে। এ হিসাবে বার্ষিক গড় কিস্তির পরিমাণ ৪৫৫ কোটি টাকা। এডিবি ঋণ দিয়েছে তিন ধাপে। চুক্তি অনুযায়ী বর্তমানে প্রায় ৪২০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে বার্ষিক। ২০২৮ সালে তা ৬৬০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। এর সঙ্গে পরিশোধ করতে হবে ২ শতাংশ সুদও। প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ শেষ হবে ২০৪৮ সালে।
আজকের পত্রিকা
নাগরিকত্ব ছাড়ার হার বাড়ছে, ৮ বছরে ছেড়েছেন ২৬০৬
নানা কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন বাংলাদেশিরা। অন্য দেশের নাগরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব ছাড়ার হার দিন দিন বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব বহাল রেখে দ্বৈত নাগরিকত্ব নেওয়ার হার। মূলত দেশের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ছে বলে পর্যবেক্ষকেরা মনে করছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ৬০৬ জন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়েছেন। এই আট বছরে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৫ জন।
বণিক বার্তা
এক মেগাবাইট সরবরাহেও সাতবার অর্থ আদায় করে সরকার
দেশে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথ প্রবাহের সূচনা হয় সাবমেরিন কেবলস কোম্পানি ও ইন্টারন্যাশনাল টিরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) অপারেটরদের মাধ্যমে। গ্রাহক পর্যন্ত ইন্টারনেট সেবা দিতে অতিক্রম করতে হয় সাতটি ধাপ। প্রতিটি ধাপ থেকেই অর্থ আদায় করে সরকার। একটি অংশ নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং অন্য একটি অংশ আদায় করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ কারণে ইন্টারনেট ডাটার দাম কমার বদলে দিন দিন বেড়েই চলেছে।
আন্তর্জাতিক ব্যান্ডউইডথের প্রবাহ নিশ্চিত করে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটর বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি) এবং বেসরকারি খাতের ইন্টারন্যাশনাল টিরেস্ট্রিয়াল কেবল অপারেটর। এ দুই অপারেটর ইন্টারনেট সরবরাহ করে মূলত ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের কাছে। আইআইজি অপারেটররা মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমএনও), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (আইএসপি) ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করে। এমএনও অপারেটররা ইন্টারনেট সেবা দিতে টাওয়ার কোম্পানির ওপর নির্ভরশীল। আর সব অপারেটর সেবা নিতে নির্ভর করতে হয় নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) অপারেটরের ওপর।
এছাড়া বিচারকের খাস কামরায় নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পান আইনমন্ত্রীর প্রার্থীরা; গাজায় এক পরিবার ঘুম থেকে চিরঘুমে; হাসিনাকে ফেরাতে ‘রেড নোটিশ’ জারি হচ্ছে; পাচার অর্থ ফেরাতে সরকার সিঙ্গাপুরের সহায়তা চায়; অক্টোবরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ; খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ নেতাকে ‘হত্যা’; আওয়ামী লীগ নানা বেশে আসার চেষ্টা করছে; আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করলে ব্যবস্থা—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।