সবার জন্য শহরকে নিরাপদ করতে চায় ডিএনসিসি
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেছেন, সবার জন্য শহরকে নিরাপদ করতে চায় ডিএনসিসি।
শনিবার (৯ নভেম্বর) গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে ‘নিরাপদে স্কুলে প্রবেশ’ বিষয়ক নকশা প্রণয়ন কর্মসূচিতে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
মীর খায়রুল আলম বলেন, আমরা ডিএনসিসির পক্ষ থেকে সবার জন্য শহরকে নিরাপদ করতে চাই। এজন্য সড়ক ও ফুটপাথ নিরাপদ করা জরুরি। ডিএনসিসি সংশ্লিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে সড়ক ও ফুটপাথকে নিরাপদ করার লক্ষ্যে কাজ অব্যাহত রাখবে।
ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন ২০২১ সালে ‘ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ফর গ্লোবাল রোড সেফটি’ শীর্ষক বৈশ্বিক উদ্যোগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ শুরু করে। এ কর্মসূচির উদ্যোগে এরইমধ্যে ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের গবেষণা ও কারিগরি সহায়তায় ঢাকার বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন সড়ককে পথচারী ও শিশুবান্ধব অবকাঠামো সহযোগে পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে পথচারীদের নিরাপদ রাস্তা পারাপার এবং ব্যবহার করার লক্ষ্যে কার্যক্রম বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন।
বিআইজিআরএস-এর ইনিশিয়েটিভ কোঅর্ডিনেটর মো. আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ কর্মসূচির অন্যতম অংশীদার ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউট ফুটপাথ ডিজাইন ও নগর পরিকল্পনা বিষয়ে আন্তর্জাতিক জ্ঞান এবং প্রযুক্তিগত কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। এ কর্মশালার যার মূল উদ্দেশ্য সব বয়সী ছাত্রছাত্রীদের নিরাপদে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য অবকাঠামোগত নকশা প্রণয়নে সিটি কর্পোরেশন ও অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানকে দক্ষ করে গড়ে তোলা।
স্থপতি ও নগর নকশাবিদ মুসতাসিম মাহমুদ খান বলেন, ব্যক্তিগত গাড়ি নির্ভর যাতায়াতের পরিবর্তে গণপরিবহনে নিরাপদে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা, নির্দিষ্ট স্থানে উঠা-নামানোর ব্যবস্থা ও গাড়ি থামানোর জায়গা রাখা (পিকআপ, ড্রপ অফের জায়গা), যেখান থেকে প্রতিষ্ঠানের গেট পর্যন্ত নিরাপদে হেঁটে পৌঁছানোর অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
এএসএস/জেডএস