মহানগরীকে বাঁচাতে ঢাকার চারপাশে বৃত্তাকার নৌ-পথ নির্মাণে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। 

শুক্রবার সোয়ারীঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন (বিবিএ) এর এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে পরিবেশবাদীরা বুড়িগঙ্গা ও ঢাকার আশেপাশের অন্যান্য নদী ড্রেজিং করে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য এবং নদীগুলোকে অবৈধ দখল ও দূষণ থেকে রক্ষা করার জন্য জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক ও বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের সমন্বয়ক, মিহির বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বাপা সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক ড. মাহবুব হোসেন, জাতীয় পরিষদ সদস্য, আশরাফ আমিরুল্লাহ, জাতীয় পরিষদ সদস্য, হাজী শেখ আনছার আলী, বাপা জীবন সদস্য মো. আবদুল হামিদ, সিডিপির কর্মকর্তা, এডওয়ার্ড এ মধু, পরিবেশ কর্মী ও বুড়িগঙ্গা পাড়ের স্থানীয় বাসিন্দা ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জুয়েল, সমাজকর্মী ও পবার নেতা মো. সেলিম, কেমেলিয়া চেীধুরী এবং মো. রাসেল।

সভাপতির বক্তব্যে মিহির বিশ্বাস বলেন, নদীর প্রকৃত সংজ্ঞা নির্ধারণ করে দেশের দখল হওয়া নদীগুলোকে উদ্ধারে সরকারের বেশী গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে পুনর্গঠন করে হাইকোর্টের নির্দেশের আলোকে দেশের অভ্যন্তরে সমস্ত নদী-বিল-হাওর এবং জলাশয়ের অভিভাবক হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে নদীগুলোর দখলদারদের তালিকা পূর্ণাঙ্গ করে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। 

আলমগীর কবির বলেন, বুড়িগঙ্গাসহ দেশের সকল নদীগুলোকে দখল ও দূষণমুক্ত করে নদীর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করতে হবে। প্রত্যেকটি নদীর সাথে সংযুক্ত খাল, প্লাবন অঞ্চল ও কৃষি জমি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ ও ঢাকার চারিদিকে চক্রাকার নৌপথ চালু করলে যানজট কমে আসবে।

ড. মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের নদীগুলো এখনও দূষণ ও দখলকারীরা নিয়ন্ত্রণ করছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে দেশের নদী রক্ষা করা না গেলে রাজনৈতিক সরকারের সময় রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।

এমএসএ