বৈশ্বিক উন্নয়নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে সারা দেশের জন্য ভূমি ব্যবহার, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পেশাজীবীদের যথাযথ সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করা জরুরি।

শুক্রবার (৮ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে র‌্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উদ্বোধনী অংশ হিসেবে এ আয়োজন করা হয়।

বক্তারা বলেন, প্রতিটি নগরের জন্য নির্ধারিত মহাপরিকল্পনার ব্যত্যয় ঘটিয়ে যথেচ্ছা ভূমি ব্যবহার প্রতিনিয়ত দেশের নগরগুলোতে হুমকির সম্মুখীন করছে। যথাযথ স্থানসমূহে পর্যাপ্ত নগর পরিকল্পনাবিদদের সংশ্লিষ্টতার অভাবের কারণে মহাপরিকল্পনাসমূহ বাস্তবায়ন ব্যহত হয়। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য একটি সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি পর্যায়ে পরিকল্পনাবিদদের পদায়ন নিশ্চিত করতে নীতি-নির্ধারকদের যথাযথ পদক্ষেপ প্রয়োজন।

তারা বলেন, কৃষি জমি থেকে শুরু করে গ্রাম-শহর ও দেশের প্রতিটি ইঞ্চির স্থানিক উন্নয়ন পরিকল্পনা থাকা দরকার। দেশে অসংখ্য প্রজেক্ট চলছে, কিন্তু সমন্বিত স্থানিক পরিকল্পনার অভাবে এর কোনটিই জনগণের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না। এমনকি সরকারভেদে বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়া হলেও, সেগুলো সফল না হওয়ার পেছনে এই সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব ছিল।

বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহম্মদ মেহেদী আহসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু বোরহান মোহাম্মদ বদরুজ্জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান প্রমুখ।

এএসএস/এমজে