‘ডিএসসিসি লাইভ মনিটরিং’ নামে ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে মশক নিধন কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তদারকি করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। তাদের কর্মপরিকল্পনার আওতায় নিয়মিত সব ওয়ার্ডে লার্ভিসাইডিং ও এডাল্টিসাইডিং কার্যক্রম সূচি অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা ও দৈনন্দিন সূচি অনুযায়ী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) অব্যাহতভাবে নিয়মিত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে। পরিকল্পনার আওতায় মশক নিয়ন্ত্রণে দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, ডিএসসিসি এলাকাভুক্ত ৪৮টি থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে, ৮৩৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ডিএসসিসি আওতাভুক্ত সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে একাধিকবার বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশক নিধন চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ডেঙ্গু রোগীর প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রোগীর হোল্ডিং ও আশেপাশের ৩০০ গজ এলাকায় কুইক রেসপন্স টিমের মাধ্যমে মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এডিস মশার উৎসস্থলে লার্ভিসাইডিং হিসেবে টেমিফসের পাশাপাশি লোভালিউরণ ট্যাবলেট ব্যবহৃত হয়।

তথ্য কর্মকর্তা জোবায়ের হোসেন বলেন, সম্প্রতি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ৭৭৮৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯২টি বাড়ি, স্থাপনাতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৬১টি মামলা দায়ের পূর্বক মোট ১৬ লাখ ৮১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রিপোর্টে গত ১ জানুয়ারি থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন এলাকায় ডেঙ্গু রোগী দেখানো হয় ১২,২৮৫ জন। তবে ডিএসসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীরা তদারকি করে ডিএসসিসির আওতাধীন প্রকৃত রোগীর সংখ্যা পায় ৩,৮৯৩ জন। বাকি ৮৩৯২ জনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। 

চলতি সপ্তাহে সারাদেশে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৩০ জনের যার মধ্যে ডিএসসিসির আওতাভুক্ত ২ জন।

এএসএস/এমএসএ