পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা  সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে একটি প্লাস্টিকমুক্ত ও টেকসই পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সম্মিলিত প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তিনি বলেছেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে একটি টেকসই পর্যটনের মডেল ও পরিবেশ সংরক্ষণের আদর্শ স্থানে রূপান্তর করতে পারি। এই প্রচেষ্টা সফল করতে সব ক্ষেত্রের সহযোগিতা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘ (আইইউসিএন) এবং পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘সেন্ট মার্টিন দ্বীপের সম্ভাবনা: একটি প্লাস্টিকমুক্ত স্বর্গের সূচনা’ শীর্ষক ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন। এই ইভেন্টের উদ্দেশ্য ছিল দ্বীপের একটি টেকসই, প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার বিষয়ে আলোচনা করা।

ওয়েবিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আব্দুল হামিদ, আইইউসিএন এশিয়ার প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট প্রধান রাকিবুল আমিন, আইইউসিএন সদর দপ্তরের প্লাস্টিক প্রোগ্রাম অফিসার লিন সোরেনটিনো এবং জিআইজেড বায়োডাইভার্সিটি প্রোগ্রাম বাংলাদেশের সেক্টর-কোঅর্ডিনেটর স্টেফান আলফ্রেড গ্রোনেওল্ড।

ওয়েবিনারে বিশেষজ্ঞ এবং অংশগ্রহণকারীরা সেন্ট মার্টিনের অনন্য জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশবান্ধব উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ কমানোর কৌশল নিয়ে প্রাণবন্ত আলোচনা করেন। প্রায় ৯০ জন অংশগ্রহণকারী এই আলোচনায় যুক্ত হন এবং দ্বীপের একটি পরিষ্কার ও সবুজ ভবিষ্যতের প্রতি তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

আইইউসিএন এবং পরিবেশ অধিদপ্তর সেন্ট মার্টিন দ্বীপের একটি টেকসই, প্লাস্টিকমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার লক্ষ্যে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে, যা ইতিবাচক পরিবেশগত পরিবর্তনের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও শক্তিশালী করবে।

এসএইচআর/এমএ