চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট এলাকার আবাসিক হোটেলে খুন হন বিবি কুলছুম (৩৭)। ক্লুলেস এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে পেছনে লেগে থাকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। একপর্যায়ে সফলতা পায় সংস্থাটি।

এ ঘটনায় জড়িত ফরহাদ হোসেন ওরফে ফরাদ হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে ফরহাদ। একই সঙ্গে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। 

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে এ জবানবন্দি দেওয়া হয়। 

এতে জানান, আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য বিবি কুলছুমকে নিয়ে যান ফরহাদ হোসেন। পরে টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে কুলছুমকে খুন করেন ফরহাদ। 

সিআইডি চট্টগ্রামের বিশেষ পুলিশ সুপার শাহনেওয়াজ খালেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, চান্দগাঁও থানার বিবি কুলছুম হত্যা মামলার আসামি ফরহাদ হোসেনকে গতকাল (বুধবার) সন্ধ্যায় নগরের খুলশী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ও তার বাড়ি ভোলায়ও বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। মূলত বিবি কুলছুম টাকার বিনিময়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গুলজার হোটেলে ফরহাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন। হোটেল কক্ষে বিবি কুলছুমের সঙ্গে ফরহাদের টাকার পরিমাণ নিয়ে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে ফরহাদ বিবি কুলছুমকে গলা টিপে হত্যা করে। 

জানা গেছে, গত ১৯ অক্টোবর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট গুলজার হোটেলে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ফরহাদ ও বিবি কুলছুম একদিনের জন্য একটি কক্ষ ভাড়া নেন। পরের দিন চেক আউট না করায় দুপুরে হোটেল কর্মচারী রুমের সামনে গিয়ে দরজা বাইর থেকে হাতল লাগানো অবস্থায় দেখতে পান। দরজা খুলে বিবি কুলছুমকে ওয়াশরুমের মেঝেতে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ও হাত-পা বাঁধা, মৃত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। 

এ ঘটনায় বিবি কুলছুমের বাবা মো. আব্দুল ছত্তর বাদী হয়ে অভিযুক্ত ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন। ঘটনাটি জানার পর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। সিআইডির ক্রাইমসিন টিম ভিকটিম বিবি কুলছুমের পরিচয় শনাক্ত করে। 

এমআর/এসএম