ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান গোপনে সাইপ্রাসের নাগরিকত্ব নিয়েছিলেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ‘রেসিডেন্স কার্ড’ (স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি) রয়েছে বেলজিয়ামের। সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল যুক্তরাজ্যের নাগরিক। সাবেক দুই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ও জুনাইদ আহ্‌মেদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকার বৈধ অনুমতি বা ‘গ্রিন কার্ড’ রয়েছে।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বিদেশি ‘নাগরিকত্ব’ নিয়ে মন্ত্রী-এমপি হন ২৪ জন

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য ছিলেন, এমন ২৪ জনের দ্বৈত নাগরিকত্ব (কারও কারও ক্ষেত্রে রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড) থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পেতে চাইলে একজন ব্যক্তিকে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কোনো কোনো রাষ্ট্রে রেসিডেন্স কার্ড বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরের ধাপে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়।

বণিক বার্তা

মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় ডাউনলোডে সামান্য গতি বাড়লেও আপলোডে কমেছে

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের আগে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে দেশের ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রাখা হয় দুই সপ্তাহের মতো। ওই সময় থেকে ইন্টারনেট স্পিডের উন্নতি হয়েছে সামান্যই। আবার একই সঙ্গে কমেছে ইন্টারনেট পরিষেবার গুণগত মানও। পর্যাপ্ত গতি না পাওয়ার অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। গ্লোবাল স্পিডটেস্ট ওকলা ইনডেক্স অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টের পর দেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবায় ডাউনলোড স্পিডে কিছুটা উন্নতি দেখা গেলেও আপলোড স্পিড কমেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুলাই-আগস্টে দীর্ঘ সময় দেশের ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হওয়া, ক্যাশ সার্ভার বন্ধ থাকা, মোবাইল ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী অপারেটরদের নতুন বিনিয়োগ না আসাসহ বেশকিছু কারণে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবায় অগ্রগতি হচ্ছে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে বিটিআরসিকে আইনি সহযোগিতা দেয়ার পাশাপাশি সেলফোন অপারেটরদের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতেও উৎসাহ দিতে হবে।

সমকাল

সন্ত্রাসী থেকে শতকোটি টাকার মালিক নাছির

পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী আশরাফুল আলম নাছির ওরফে গোলাম নাছির। শহরের ওয়্যারলেসপাড়ার এই বাসিন্দা ফরিদপুরবাসীর কাছে ছিলেন মূর্তিমান আতঙ্ক। সন্ত্রাস, হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, বিস্ফোরক বোমা প্রস্তুত, অবৈধ অস্ত্রের সরবরাহসহ অনেক মামলার আসামি তিনি। রয়েছে মাদক ব্যবসার বিশাল নেটওয়ার্ক ও সিন্ডিকেট। দু’হাতে কামিয়েছেন অবৈধ অর্থ। এভাবে গত ৩০ বছরে সন্ত্রাসী থেকে নামে-বেনামে শতকোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এই নাছির। 

একের পর এক অপরাধে যুক্ত হয়ে পুলিশের কালো তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী হলেও বিভিন্ন কৌশলে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছেন। রাস্তার বখাটে থেকে প্রথমে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এবং পরে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সর্বশেষ ফরিদপুর জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতিও হন তিনি। টাকা আর অস্ত্রের জোরে এই বড় পদ বাগিয়ে নেন। ছিলেন ক্রসফায়ারে নিহত ভয়ানক সন্ত্রাসী বাবু কসাইয়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। বলা হয়ে থাকে, বাবু কসাইয়ের হাত ধরেই ৫১ বছর বয়সী নাছিরের উত্থান।

কালবেলা

তাপসের ভয়ংকর কারবার

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সঙ্গে নিয়ে গান গাওয়া, ভারতীয় নায়িকা সানি লিওনকে নিজের মেয়ের বিয়েতে অতিথি করে নিয়ে আসা, এক নায়িকার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন, গানবাংলা চ্যানেল অবৈধ দখলসহ নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। তার পুরো নাম কৌশিক হোসেন তাপস। তিনি গানবাংলার সিইও এবং চেয়ারম্যান। গ্রেপ্তারের পর গতকাল সোমবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

তাপস সম্পর্কে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য। একসময় বাসাবাড়িতে ঘুরে ঘুরে প্রাইভেট পড়িয়ে জীবন চলত তার। কম বেতনে করেছেন বেসরকারি চাকরি। বেসরকারি টেলিভিশনে ছিলেন তবলাবাদক। আবৃত্তিশিল্পী রবিশঙ্কর মৈত্রীর নামে নিবন্ধন পাওয়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘গানবাংলা’ অবৈধভাবে নিজের দখলে নিয়েছেন তিনি। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপকে। শনৈ শনৈ উন্নতি হয়েছে তার। বিতর্কিত এই ব্যক্তির কর্মকাণ্ড নিয়ে রয়েছে নানা আলোচনা ও সমালোচনা। গানবাংলায় তার বহুল আলোচিত কালা স্টুডিওতে ফাঁদে ফেলে এবং সরকারের বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিতেন তিনি। বিগত সরকারের পজিটিভ ইমেজ প্রচার ও মুজিব শতবর্ষের প্রচারের কাজে বড় ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

যুগান্তর

নিষ্পত্তিতে ‘কচ্ছপ গতি’ ক্ষোভ বিএনপিতে

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী ৭ নভেম্বর হচ্ছে এই সরকারের তিন মাস। কিন্তু এখনো ‘কচ্ছপ গতিতে’ চলছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার অথবা নিষ্পত্তির কার্যক্রম। এতে তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্র পর্যন্ত নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভ।

আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বেশ কয়েকটি মামলার নিষ্পতি হলেও এখনো প্রায় দেড় লাখ মামলা রয়েছে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়ের করা এসব মামলাকে মিথ্যা ও গায়েবি বলে দাবি করে আসছে বিএনপি।

বণিক বার্তা

নানা টানাপড়েনেও যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বহুমাত্রায় বড় হয়েছে

বাংলাদেশ থেকে একক দেশ হিসেবে রফতানীকৃত পণ্যের শীর্ষ গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগও (এফডিআই) সবচেয়ে বেশি এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশটি থেকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে বড় ধরনের টানাপড়েন দেখা দেয়।

বিশেষ করে চলতি বছরের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অস্বস্তি বেড়ে যায়। তবে এসব টানাপড়েনের মধ্যেও বিগত বছরগুলোয় যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক নানা ক্ষেত্রে বড় হয়েছে। এফডিআইর উৎস ও রফতানি গন্তব্য হিসেবে শীর্ষস্থান ধরে রাখার পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্সেরও অন্যতম প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে দেশটি।

দেশ রূপান্তর

ঘরে বসেই নতুন পাসপোর্ট শিরীনের

গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাচ্যুত সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের (এমপি) লাল পাসপোর্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। যারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও জাতীয় সংসদের পদত্যাগী স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর লাল পাসপোর্টও বাতিল হয়েছে।

রংপুরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে স্বর্ণশ্রমিক মুসলিম উদ্দিন (৩৮) নিহতের ঘটনায় করা হত্যা মামলার আসামি তিনি। গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে থাকা সাবেক এ স্পিকার গত ৩ অক্টোবর তার স্বামী সৈয়দ ইশতিয়াক হোসাইনসহ ঢাকার আগারগাঁওয়ে পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ ই-পাসপোর্ট পেতে আবেদন করেন। গত ১০ অক্টোবর তাদের আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের ছবি দেওয়ার তারিখ ছিল, যা তারা ঘরে বসেই দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

সমকাল

প্লট বাড়ি গাড়ি ঘের সবই আছে এসপি জসীমের

রাজধানীর মিরপুরে পীরেরবাগের ঝিলপাড় ২ নম্বর সড়কের ২৯৯/৯ নম্বর বাড়িটি ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সদ্য সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দীন মোল্লার। ছয়তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নিয়ে তৈরি ডুপ্লেক্সে পরিবার নিয়ে বাস করেন তিনি। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠতলা পর্যন্ত প্রতি তলায় দুটি ইউনিট। এই ছয় ফ্ল্যাটে আছেন ভাড়াটিয়া।

ওই বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ‌প্রধান ফটকে ঝুলছে ‘টু-লেট’। বাসা ভাড়া নেওয়ার নাম করে কথা হয় নিরাপত্তাকর্মী আবদুস সাত্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, নিচতলার ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেওয়া হবে। ভবনের আর কোনো ফ্ল্যাট খালি নেই। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, টুঙ্গিপাড়া মৌজায় ২৫ কাঠার একটি জমি রয়েছে, যার দাম কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। একই মৌজায় আরও ১৮ কাঠা ও সাত কাঠার দুটি জমি রয়েছে। এসব জমির দাম ৫০ লাখ টাকার কম নয়। এ ছাড়া কোটালীপাড়ার কান্দিলাল শাপলার বিলে ১২ বিঘা জমিতে একটি মাছের ঘের রয়েছে জসীমের। এটির দামও অন্তত দেড় কোটি টাকা। ঢাকার মিরপুরের বর্ধিত পল্লবীর ৩ নম্বর রোডের এক ভবনে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। এ ছাড়া পূর্বাচলে পাঁচ কাঠার একটি প্লট ও পীরেরবাগের ঝিলপাড় এলাকায় মালঞ্চ ভবনে আরও একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। 

আজকের পত্রিকা

দীপুর সাম্রাজ্যে টিপুই সব

চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা-বিল ডাকাতিয়ায় গত ১৫ বছরে অনেক পানি গড়ালেও জেলার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন একজনই। তিনি ডা. দীপু মনি। টানা চারবারের সংসদ সদস্য, তিন দফায় মন্ত্রিত্ব ও ক্ষমতার শীর্ষ ব্যক্তির সুনজরের সুবাদে চাঁদপুরকে করে নিয়েছিলেন নিজের সাম্রাজ্য। যার দেখভাল করতেন তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপু। যিনি নিজেও খাসজমিতে গড়ে তোলেন ‘টিপু নগর’।

চাঁদপুরের রাজনীতি, নিয়োগ-বদলি, দরপত্র, মনোনয়ন-বাণিজ্য, অবৈধভাবে নদীর বালু উত্তোলন, প্রকল্প গ্রহণ, জমি অধিগ্রহণসহ সর্বত্র বিস্তৃত ছিল দীপু মনির নিয়ন্ত্রণ। ডা. টিপুর নেতৃত্বে একটি চক্রের সদস্যরা এই নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করতেন। এই চক্রের একজন বালুখেকো সেলিম খান গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন।

যুগান্তর

স্ত্রীর ভাগ্যে বাজিমাত

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বল্পসময়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরে ‘ডন’ হিসাবে পরিচিতি পান রায়হান মুস্তাফিজ। গণপূর্তের বড় বড় কাজেও ছিল তার একচেটিয়া প্রভাব। মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে একক ও যৌথভাবে শুধু সড়কের ৮ হাজার ৬৫০ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নেয় রায়হানের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স (এনডিই)।

অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটিকে একের পর এক বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কাজ দেওয়া হয়। এতে বিস্মিত হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা; কিন্তু কিছু বলতে পারেননি। এখন তারা বলছেন, ক্ষমতার কালো কাপড়ে বাঁধা ছিল তাদের চোখ। রায়হানের স্ত্রী পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা সাবেক চিফ হুইপ নূরে আলম চৌধুরী লিটনের স্ত্রীর বোন। এ সুবাদে লিটনের ভায়রা হওয়ায় রায়হানের দাপটে সবাই ছিলেন অসহায়। ভায়রার তদবিরেই সড়কের ঠিকাদারি কাজের ‘মাফিয়া চক্রের’ সদস্য বনে যান তিনি। ব্যবসায়িক অংশীদার করেন ববি সিদ্দিকীকে। তাদের পেছন থেকে মদদ দেন তারেক সিদ্দিকী। তাদের সবাই রায়হানের শ্বশুরবাড়ির দিকের আত্মীয়।

কালের কণ্ঠ

অর্থনীতিতে কিছুটা শৃঙ্খলা অস্বস্তি রাজনীতিতে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের অবসানের আজ তিন মাস পূর্ণ হচ্ছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ও দেশ ছাড়ার পর শুরু হয় গণতন্ত্রের পথে রাষ্ট্র সংস্কারের মাধ্যমে উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনের যাত্রার প্রত্যাশা নিয়ে নতুন এক অধ্যায়।

৮ আগস্ট নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়সও তিন মাস পূর্ণ হওয়ার পথে। এই তিন মাস মূল্যায়নে অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ভঙ্গুর সামষ্টিক অর্থনীতিতে খানিকটা শৃঙ্খলা ফিরেছে।

দেশ রূপান্তর

বিস্ফোরণঝুঁকিতে চট্টগ্রাম বন্দর

রাসায়নিক পদার্থের বিস্ফোরণের ঝুঁকিতে রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ২১৮টি কনটেইনারে সালফিউরিক অ্যাসিড এবং সোডিয়াম ও পটাশিয়াম হাইড্রোক্সাইডের মতো বিপজ্জনক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। ১৫ থেকে ২০ বছরের পুরনো এসব রাসায়নিক কনটেইনার ভেঙে বাইরে গড়িয়ে পড়ছে। ফলে লেবাননের বৈরুতের মতো বিস্ফোরণের আশঙ্কা করছে খোদ কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।

সম্প্রতি চারটি কনটেইনারে থাকা ১৪ বছরের পুরনো তরল রাসায়নিক ইয়ার্ড থেকে খালাস করা হলেও এখনো চিটাগাং কনটেইনার টার্মিনাল (সিসিটি), নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং ওভারফ্লো ইয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে ২১৮টি কনটেইনার রয়ে গেছে। এসব কনটেইনারের অনেকগুলো ভাঙা; কোনোটিতে পাউডার জাতীয় রাসায়নিক, আবার কোনোটিতে তরল রাসায়নিক রয়েছে। কনটেইনারের গ্যালন ভেঙে রাসায়নিক পদার্থ বাইরে গড়িয়ে পড়ছে। কোথাও কোথাও কনটেইনারের ওপর গাছের চারা গজিয়েছে।

বণিক বার্তা

চাল আমদানি শূন্য, কমেছে গমও

দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল, দ্বিতীয় গম। বিভিন্ন দেশ থেকে আগে চাল আমদানি হলেও এখন তা শূন্যের কোটায় নেমেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে মজুদ বাড়ানোর পাশাপাশি দাম সহনীয় রাখতে শুল্ক কমিয়ে আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর পরও দেশের প্রধান খাদ্যশস্যটি আমদানিতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ডলার সংকটের কারণে ঋণপত্র (এলসি) জটিলতায় কমছে গম আমদানিও। বাজারে তাই খাদ্যপণ্য দুটির দাম ঊর্ধ্বমুখী।

খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে মোট গম আমদানি হয়েছিল ৬৬ লাখ ২৮ হাজার ৫৮০ টন। এর মধ্যে সরকারি পর্যায়ে আসে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ২৮০ টন ও বেসরকারি পর্যায়ে ৫৮ লাখ ৪৪ হাজার ৩০০ টন। চলতি অর্থবছরে গত ৩ নভেম্বর পর্যন্ত আমদানি হয়েছে কেবল ১৭ লাখ ৪৮ হাজার টনের মতো। সরকারি পর্যায়ে এ চার মাসে বিশ্ববাজার থেকে গম আনা হয়েছে ২ লাখ ৪৫ হাজার ১৮০ টন, আর বেসরকারি পর্যায়ে ১৫ লাখ ২ হাজার ৫০০ টন। অন্যদিকে এ সময়ে কোনো চালই আমদানি করা হয়নি।

এছাড়া সংস্কার বিষয়ে কমিশনপ্রধানরা প্রধান উপদেষ্টাকে জানালেন; এবার ৩১ দফা নিয়ে জোরালোভাবে জনগণের কাছে যাবে বিএনপি; সেমিনারে ড. কামাল যেনতেনভাবে সংবিধানে হাত দেওয়া যাবে না; বেক্সিমকো-এস আলমসহ ১০ শিল্পগ্রুপে বসছে রিসিভার; এসিআই মোটরস-পিডি মিলেমিশে সর্বনাশ; বাড়তি দামে কয়লা ক্রয় অতিরিক্ত খরচ ৯১৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা; ৭ কলেজের অধিভুক্তি বাতিল না হলে কঠোর কর্মসূচি; পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনর্তদন্ত হবে; ঢাবি ক্যাম্পাসে হাসিনা-কাদেরের প্রতীকী ফাঁসি—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।