দেশের মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোকে ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

তিনি বলেন, যেহেতু আন্দোলন শুরু হয়েছিল কর্মসংস্থানকে কেন্দ্র করে তাই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। যুব সমাজের আগ্রহ ও চাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে মোবাইল কলরেট কমানো এবং ইন্টারনেটের মেয়াদবিহীন প্যাকেজ চালুর ব্যবস্থা করতে হবে।

রোববার (৩ নভেম্বর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে মোবাইল অপারেটর রবি এবং গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে উপদেষ্টা এ আহ্বান জানান।

এর প্রেক্ষিতে গ্রামীনফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, আগে টেলিযোগাযোগ খাতের কোনো অফিসে গিয়ে কথা বলার মতো পরিবেশ ছিল না। কিন্তু বর্তমানে পরিবেশ পরিবর্তন হয়েছে। এখন কথা বলা যাচ্ছে এবং ফিডব্যাক ও পাওয়া যাচ্ছে এটা টেলিকমিউনিকেশন খাতের জন্য শুভলক্ষণ।রবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব শেঠী বলেন, গত ১৫ বছরে টেলিকমিউনিকেশন খাতে কমিশন বেইজড বিভিন্ন লেয়ার তৈরি হয়েছে যার ফলে মোবাইল অপারেটররা মুনাফা বঞ্চিত হচ্ছে।

এ সময় উপদেষ্টা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ট্রানজিশন পিরিয়ডের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সরকার এই সময়টা সফলভাবে পার করতে পারলে দেশ ঘুরে দাঁড়াবে এবং সম্ভাবনার নতুন নতুন দরজা খুলে যাবে আর যদি সেটা সম্ভব না হয় তাহলে দেশ পিছিয়ে যাবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এখন কাজ করার উপযুক্ত সময়  বিরাজ করছে। যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকার জনসমর্থিত তাই দেশ ও দেশের মানুষের উপকার হয় এমন যেকোনো কাজ করতে সরকার আগ্রহী। টেলিকমিনিকেশন খাতে উন্নতির জন্য সরকার কর্মতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

পৃথক পৃথক বৈঠকে রবি আজিয়াটা পিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ কর্পোরেট এন্ড রেগুলেটরি অফিসার মো. শাহেদুল আলম,  গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার (সিসিএও) তানভীর মোহাম্মদ সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএইচটি/এমএ