বাংলাদেশের পাসপোর্টে ‘এক্সেপ্ট ইসরায়েল’ (ইসরায়েল ছাড়া) লেখা পুনরায় বহালের দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে এমন দাবি জানানো হয়েছে।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসরায়েল ফিলিস্তিনে নির্বিচারে গণহত্যা চালাচ্ছে। অথচ বিশ্বের মোড়ল দেশগুলো চুপচাপ বসে আছে। তাদের চলমান সহিংসতায় হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। বিশ্বজুড়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থাগুলোরও এই সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলা উচিত। ইসরায়েলকে তার আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক নেতাদের আহ্বান জানাচ্ছি৷

আশরাফুল হাবিব নামে এক বক্তা বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে গণবিক্ষোভ ও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। কিন্তু তারা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করছে না। আমরা এই মানবিক সংকট সমাধানের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ সময় সরকারের কাছে চার দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে —

১. পাসপোর্টে ইসরাইলে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত পূর্ববর্তী পয়েন্টটি পুনর্বহাল করতে হবে।

২. ফিলিস্তিনিদের সাহায্যের জন্য সরকারি তহবিল গঠন করতে হবে।

৩. রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসরায়েল ও তার সহযোগীদের পণ্য বয়কট করতে হবে।

৪. আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে।

সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি বাইতুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় গিয়ে শেষ হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন সরকার লিখিতভাবে ইসরায়েলের স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করেছিল। সেই থেকেই বাংলাদেশ অবস্থান রয়েছে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পক্ষে। তবে গত কয়েক বছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন ইসরায়েলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়েছে। বাংলাদেশেও কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। আগের পাসপোর্টে ইসরায়েলে ভ্রমণের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ ছিল। কিন্তু নতুন ই-পাসপোর্টে সেই কথাটি বাদ দেওয়া হয়েছে।

আরএইচটি/এমজে