দেশের বিভিন্ন এলাকায় গত ৯ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত শিল্পাঞ্চলে নাশকতা সৃষ্টিকারী ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। এছাড়া ফ্যাক্টরি মালিক এবং শ্রমিকদের সঙ্গে ৭২৩টি সফল আলোচনার ফলস্বরূপ ৫৬টি কারখানা ভাঙচুর/অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধ করেছে সেনাবাহিনী। 

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।

আইএসপিআর জানায়, গত ৯ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্স সাভার-আশুলিয়া এলাকায় ৯৭টি, গাজীপুরে ৩৩টি, নারায়ণগঞ্জে ৬টিসহ মোট ১৩৬টি উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানের মাধ্যমে মালিক, শ্রমিক এবং ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্যদেরকে বিক্ষুব্ধ দুষ্কৃতকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চলে নাশকতা সৃষ্টিকারী ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মহাসড়কে স্থাপিত ১২৩টি রোড ব্লক অপসারণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করেছে সেনাবাহিনী। ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্সের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ফ্যাক্টরি মালিক এবং শ্রমিকদের সঙ্গে ৭২৩টি সফল আলোচনার ফলস্বরূপ ৫৬টি কারখানা ভাঙচুর/অগ্নিসংযোগ প্রতিরোধ করা হয়েছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, এ সকল কার্যক্রম ছাড়াও এই টাস্কফোর্স বিভিন্ন কলকারখানার বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করা; মালিক, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাদাভাবে আলোচনা সভা আয়োজনের পাশাপাশি ব্যবসায়ী সংগঠনের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করেছে। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তাদের আবাসিক এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত মাইকিংসহ নানাবিধ প্রচার প্রচারণার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ২০ অক্টোবর অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী লেফটেন্যান্ট জেনারেল আব্দুল হাফিজ (অব.) এবং প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী সাভার সেনানিবাসে অবস্থিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি টাস্কফোর্সের কার্যক্রম পরিদর্শন এবং সরেজমিনে বেশ কয়েকটি কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।

এ সময়ে শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন মুখর পরিবেশ দেখে এ প্রতিনিধিদল সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ভূয়সী প্রশংসা করেন। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এবং জাতীয় উৎপাদন নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করেছে আইএসপিআর।

এমএসি/এমএসএ