ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

রাষ্ট্রপতির পদ থেকে মো. সাহাবুদ্দিনকে সরানোর দাবির পক্ষে ঐকমত্য তৈরির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক শুরু করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। এরই মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছেন দুই সংগঠনের নেতারা।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

রাজনৈতিক ঐক্যের চেষ্টায় ছাত্রনেতারা

আন্দোলনের ছাত্রনেতৃত্ব ও নাগরিক কমিটি তাদের দাবিতে অনড় থেকে এ ব্যাপারে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার জন্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের সমন্বয়ে দুটি টিম গঠন করা হয়েছে। টিম দুটি ভাগ করে দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে।

কালবেলা

ঢাকা নিয়ে ছেলেখেলা সাবেক ৩ মেয়রের

রাজধানীর দুই নগর ভবনের খাতা-কলমে ঢাকা এখন তিলোত্তমা নগরী। বাস্তবে দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। উন্নয়নের নামে খানাখন্দে ভরপুর রাস্তাঘাট। খাল, খাসজমি দখল করে বড় বড় ভবন নির্মাণ। গত দেড় দশকে মেয়ররা ঢাকাকে ব্যবহার করেছেন পারিবারিক সম্পত্তির মতো। আত্মীয়স্বজনের অবাধ চাঁদাবাজি, ঠিকাদারি কাজের নামে লুটপাট, উন্নয়ন কাজে কমিশন, নিয়োগ-বাণিজ্যের মতো ঘটনা ছিল অনেকটা ওপেন সিক্রেট।

নগর ভবনের কর্তা মেয়ররা জনগণের ট্যাক্সের টাকা নিয়েও করেছেন নানা ছেলেখেলা। উদ্ভট উদ্ভট ধারণা নিয়ে সেগুলো পরীক্ষা করার জন্য বেছে নিতেন রাজধানীকে। এমন নানা বাহানায় বছর বছর শত শত কোটি টাকা গচ্চা গেলেও জবাবদিহি ছিল না। মশানিধন, যানজট নিরসন, ট্রাফিক আধুনিকায়ন, সৌন্দর্যবর্ধনে পরীক্ষামূলক প্রকল্প হাতে নিয়েও গচ্চা দিয়েছেন অন্তত কয়েক হাজার কোটি টাকা। তবে এসব প্রকল্প থেকে মেয়র এবং তাদের স্বজন হাতিয়ে নিয়েছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। গত দেড় দশকে রাজধানী বসবাসের অযোগ্য শহরের তালিকায় ওপরের দিকে উঠলেও ভাগ্য বদলেছে দায়িত্ব পালন করা মেয়র এবং তাদের স্বজনের।

কালের কণ্ঠ

দ্রুত নির্বাচনে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ ঘনীভূত হচ্ছে

দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর চাপ ঘনীভূত হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো থেকে ক্রমে এই বক্তব্য জোরদার হচ্ছে যে এই সরকারের প্রধান কাজ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন। সে ক্ষেত্রে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। 

পতিত স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগীদের অপতৎপরতা, নানামুখী সংকট, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে রাষ্ট্রপতির বিতর্কিত মন্তব্য এবং সে কারণে রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবিসংক্রান্ত পরিস্থিতি দলগুলোর মধ্যে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ বাড়িয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন।

কালবেলা

সনাতনীরা না থাকলে দেশ আফগানিস্তান-সিরিয়া হবে

‘সনাতনীরা না থাকলে এই দেশ আফগানিস্তান-সিরিয়া হবে’ মন্তব্য করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী বলেছেন, ‘যদি এই দেশ থেকে আমাদের উচ্ছেদ করে কেউ শান্তিতে থাকতে চান, তাহলে এটা আফগানিস্তান-সিরিয়া হবে, গণতান্ত্রিক শক্তি থাকবে না, সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্য হবে।’

গতকাল শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘যেই মঞ্চ থেকে ছয় দফা দাবি ঘোষিত হয়েছে, সেই লালদীঘির ময়দানে আজ হিন্দু সনাতনীদের গণজোয়ার এসেছে। আমাদের যত বেশি নির্যাতন করা হবে, তত বেশি আমরা এক হবো। এই ঐক্য বাংলাদেশের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে বাংলার কৃষ্টিকালচারের ঐক্য। এই ঐক্য কোনোভাবে খণ্ডিত করা যাবে না।’ আট দফা দাবি আদায়ে এরই মধ্যে ১৯ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

দেশ রূপান্তর

ট্রাইব্যুনালে বিচারের ভিন্ন অধ্যায়

ছাত্র-জনতার আন্দোলন ঠেকাতে হত্যা, গণহত্যার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলার বিচার আনুষ্ঠানিক (অভিযোগ দাখিল ও গঠন, সাক্ষ্যগ্রহণ, যুক্তিতর্ক) শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সংঘটিত গুমের ঘটনা নিয়ে অভিযোগেরও বিচার হবে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু হবে। বিচারকাজ শুরুর পর আগামী ছয় মাসের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আরও অনেকের রায়ের প্রত্যাশা করছে প্রসিকিউশন।

সমকাল

নড়বড়ে নিরাপত্তা, বেড়েছে অপরাধ

ছাপান্ন সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। এতে দেখা যায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় এক তরুণী হেঁটে যাচ্ছেন। এক তরুণ এসে তাঁর গতিরোধ করে। এর পর আরও তিনজন এসে ওই তরুণীকে টানাহেঁচড়া করতে থাকে, তাঁর কাঁধে থাকা ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। অস্ত্র বের করে ভয় দেখালে তরুণী দৌড়ে পালান। দিনদুপুরে ঘটে এই ঘটনা। মোহাম্মদপুরের নবীনগর হাউজিং এলাকায় ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। 

গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আরেকটি দুর্ধর্ষ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে বিজি প্রেসের সামনে। প্রিয় ডটকমের বার্তা সম্পাদক তানজিল রিমন ও এনটিভির কাঁকন রেজাসহ চার সাংবাদিক একটি প্রাইভেটকারে যাওয়ার সময় পেছনের দরজা টান মেরে খুলে গলায় চাপাতি ধরে মানিব্যাগ, মোবাইল ফোনসেট ও ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয় কয়েক ব্যক্তি। পরে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় এ ঘটনায় একটি মামলা হয়।

মানবজমিন

শুল্ক ছাড়ের প্রভাব নেই বাজারে

নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। দিশাহারা মানুষ। এমন প্রেক্ষাপটে মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে চাল, ভোজ্য তেল, চিনি, পিয়াজ, আলু ও ডিম আমদানিতে শুল্ক ছাড় দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে তদারকি। গঠন করা হয়েছে টাস্কফোর্স। তারপরও ডিম ছাড়া অন্যান্য পণ্যগুলোর দাম কমছে না, উল্টো বাড়ছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ও খুচরা দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। 

বণিক বার্তা

পল্লী বিদ্যুতায়নের সফল মডেল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি কি?

বাংলাদেশে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) ও এর অধীন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো (পবিস) গ্রামাঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সফল হিসেবে স্বীকৃত। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে এ বিদ্যুৎ সেবার আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে বিআরইবির দিকনির্দেশনার ভিত্তিতে গত সাড়ে চার দশকে বড় ভূমিকা রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো। আবার সময়ের পরিক্রমায় এসব সমিতি বিআরইবির সঙ্গে দ্বন্দ্বেও জড়িয়েছে। এ দ্বন্দ্ব এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে অতিসত্বর এর যৌক্তিক সমাধান না হলে ভবিষ্যতে গ্রামাঞ্চলে সরবরাহ নির্বিঘ্ন রাখাসহ গোটা বিদ্যুৎ খাতেই বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

তারা বলছেন, বিআরইবি-পল্লী বিদ্যুতের মধ্যকার এ দ্বন্দ্বের পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ। দ্রুত সমাধান না হলে উভয় পক্ষের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতায়নের সফল মডেলটিকেও ব্যর্থতায় পর্যবসিত করার বড় আশঙ্কা রয়েছে।

যুগান্তর

জব্দের আইনি প্রক্রিয়া শুরু

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দের প্রক্রিয়া শুরু করছে সরকার। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্য ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করছে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)। সাইফুজ্জামান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু তথ্য সংগ্রহও হয়েছে।

বিদেশের অনেক সম্পদ চিহ্নিতও হয়েছে। এখন সম্পদগুলো জব্দ করার জন্য আইনি প্রক্রিয়ায় এগোচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসাবে যুক্তরাজ্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও নীতিনির্ধারকদের সহায়তা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। দেশটির সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছে সাইফুজ্জমানের সম্পদ জব্দের আবেদন করা হবে। এজন্য ওই দেশের কোনো আইনি ফার্ম নিয়োগ দিতে হবে। এ লক্ষ্যে সরকার যুক্তরাজ্যে একটি আইনি ফার্ম নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তও নিয়েছে।

বণিক বার্তা

শ্বেতহস্তী হয়ে ওঠা টেলিটক কি শুধু রাজনৈতিক দলের দুর্নীতির হাতিয়ার

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর যাত্রা শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক। উদ্বোধনের পরই লাখ লাখ মানুষ এর গ্রাহক হন। দেশীয় ব্র্যান্ড, মিনিটপ্রতি ৬ টাকার পরিবর্তে ৪ টাকায় কথা বলার সুযোগ ও টিঅ্যান্ডটি সেবার মতো নানা কারণে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পেরেছিল টেলিটক। কিন্তু ধীরে ধীরে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। সেবার মান কমে যাওয়া, ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ধীরগতি, আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না থাকা ও রাজনীতিবিদদের আর্থিক দুর্নীতির অন্যতম মাধ্যম হয়ে ওঠে দেশীয় এ মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর।

লোকসানে থাকলেও টেলিটকের ব্যবসা বাড়াতে অর্থ লগ্নি করে সহায়তা করেছিল সরকার। পাশাপাশি প্রথম অপারেটর হিসেবে বাংলাদেশে থ্রিজি বিস্তার ও ফাইভজি সেবা চালুর সুযোগ দেয়া হয়।

কালের কণ্ঠ

রাষ্ট্রের টাকায় শেখ হাসিনার ভ্রমণবিলাস

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদেশ সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। নিয়ে যেতেন সফরসঙ্গীদের বিশাল বহর। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি দেখভাল করত বলে জানিয়েছে বিমান কর্তৃপক্ষ।

বিশাল বহর সঙ্গে থাকায় শেখ হাসিনার বিদেশ সফর নিয়ে বিতর্ক ছিল। কিন্তু এসংক্রান্ত ব্যয়ের তথ্য গোপন রাখার কারণে রাষ্ট্রের কী পরিমাণ অর্থ সেখানে খরচ হয়েছে, তা নিরূপণ করা কখনো সম্ভব হয়নি।  ২০০৯ সালে ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত শেখ হাসিনা কোথায় কতবার গেছেন, তার পূর্ণাঙ্গ তথ্য পাওয়া যায়নি।

বণিক বার্তা

জীবনের বড় সময় চলে যায় প্রস্তুতিতেই, নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ পায় গড়ে মোট প্রার্থীর আধা শতাংশ

দেশের চাকরিপ্রার্থীদের পছন্দের শীর্ষে এখন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস)। তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ এ পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ থেকে শুরু করে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় ব্যয় করতে হয় চাকরিপ্রার্থীদের। যদিও সাধারণ বিসিএসে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে রাষ্ট্রীয় আমলাতন্ত্রের অংশ হওয়ার সুযোগ পায় গড়ে মোট প্রার্থীর আধা শতাংশের মতো। গত সপ্তাহেই সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফলে বিসিএসের পেছনে প্রার্থীদের ব্যয়কৃত সময়ের পরিমাণ আরো বাড়তে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এখন পর্যন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়া সর্বশেষ পাঁচ বিসিএস পরীক্ষার (৩৯ থেকে ৪৩তম) মধ্যে তিনটি ছিল সাধারণ ও দুটি ছিল বিশেষ বিসিএস। এর মধ্যে ৩৯ ও ৪২তম বিসিএস ছিল শুধু চিকিৎসকদের জন্য, যার উদ্দেশ্য ছিল সহকারী সার্জন পদে নিয়োগ দেয়া। আর বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের ২৬টি ক্যাডারে নবম গ্রেডের কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য আয়োজন করা হয় ৪০, ৪১ ও ৪৩তম সাধারণ বিসিএসের।

সমকাল

৮ দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা সনাতনীদের

চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের গণসমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আমরা গণতন্ত্রের নামে কোনো প্রহসন চাই না। আমাদের উচ্ছেদ করে শান্তিতে থাকতে চাইলে এ দেশ হবে আফগানিস্তান-সিরিয়া। গণতান্ত্রিক শক্তি থাকবে না, পরিণত হবে সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে।

শুক্রবার বিকেলের সমাবেশে ঘোষিত আট দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। প্রতি বিভাগে মহাসমাবেশ, জেলায় জেলায় সমাবেশ এবং প্রয়োজনে ঢাকা অভিমুখে ‘লংমার্চ’ করার ঘোষণা দেন তারা।

প্রথম আলো

রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বন্ধ চায় পুলিশ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি, নিয়োগ, পুরস্কার ও শাস্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। ফলে পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ও পেশাদারত্বের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। এমন পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি রোধে সুনির্দিষ্ট কিছু নীতিমালা প্রণয়ন ও বাহিনী পরিচালনায় স্বতন্ত্র কমিশন চান পুলিশ সদস্যরা।

পুলিশ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বাহিনীটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এক বৈঠকে এই আলোচনাগুলো উঠে এসেছে। এতে কর্মকর্তারা বলেছেন, পুলিশকে সেবামুখী করতে পেশাগত মূল্যায়নের প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার পাশাপাশি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও পদোন্নতি-পদায়নে লেনদেন বন্ধ করতে হবে। সংস্কারের আগে সমস্যার মূলে যেতে হবে এবং সমাধান করতে হবে। পুলিশ কেন মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে, সেই উত্তর খুঁজতে হবে। এ কাজগুলো সঠিকভাবে করতে পারলে পুলিশকে সত্যিকারের জনগণের বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা যাবে।

এছাড়া হাইটেক প্রকল্প কাটছাঁট হচ্ছে; জামায়াতের আমির / ঐক্যের ভিত্তি হবে চব্বিশের গণবিপ্লব; গণমাধ্যমের নিরাপত্তায় আন্তরিক সরকার; হিযবুত তাহরীরের দুই সদস্য গ্রেপ্তার; সারদায় এবার শোকজ ৫৯ এসআইকে; ২১০০ সালে তাপমাত্রা ৩.১ ডিগ্রি বাড়বে; মামুনুল হক / আওয়ামী লীগকেও নিষিদ্ধ করতে হবে; হামলাকারী দুই শিক্ষক ৮০ শিক্ষার্থী লাপাত্তা; নুরুল হক নুর / কিছু ছাত্রনেতার প্রভাবে উপদেষ্টারা কাজ করতে পারছেন না—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।