জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রের স্বার্থে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) রাতে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।

ছাত্রলীগের প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আপনারা প্রত্যেকে গণমাধ্যমে হেলমেট বাহিনী, পুলিশের পোশাক পরে ছাত্রলীগ আক্রমণ করেছে, এরকম সবাই লিখেছে। নিরাপদ সড়ক আন্দোলন থেকে শুরু করে সব আন্দোলনে ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী ভূমিকায় দেখেছি। এমনও বলতে শুনেছি যে শিক্ষার্থীদের ম্যানেজ করার জন্য, শায়েস্তা করার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। আন্দোলন দমনের জন্য ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যবহার করা হয়েছে। তাদেরকে নিষিদ্ধ করার আরেকটা কারণ হচ্ছে যে, জুলাই গণহত্যার পরও তারা থেমে গেছেন, তা কিন্তু না। আদালত কর্তৃক বেশ কয়েকবার তারা দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। আমরা আবরার ফাহাদের কথা ভুলে যেতে পারি না, বিশ্বজিতের কথা ভুলে যেতে পারি না, এগুলো আমাদের সবার চোখের সামনে হয়েছে।

তিনি বলেন, আজ আসিফ আসলে সে বলতে পারত সে কীভাবে ছাত্রলীগের আক্রমণের শিকার হয়েছে। বর্তমানের প্রাধিকার বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে দেখা গেছে যে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে, আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করতে, রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে আঘাত... একটা সন্ত্রাসী সংগঠনের সন্ত্রাস বসে বসে দেখার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, অন্য কোনো রাজনৈতিক সংগঠন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্পেসিফিক অভিযোগ আছে এবং সেটা তারা নিয়মিতভাবে করছে। সেই কারণে আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

সরকারের এ উপদেষ্টা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে উপদেষ্টাদের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আন্দোলনের ভাষা আর আমাদের ভাষা এক হতে পারে না। আন্দোলনের ভাষা ভিন্ন হতেই পারে।

এমএসআই/এমজে