ছবি : সংগৃহীত

প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। সেইসব খবর থেকে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।

বেতারের শক্তি বিস্ময়কর। মাঝসমুদ্রে যেখানে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক আর কাজ করে না, ওখানেও পৌঁছে যায় বিপৎসংকেতের ঘোষণা। বাংলাদেশ বেতারের রয়েছে শক্তিশালী তরঙ্গব্যবস্থা। উন্নত অনেক দেশের বেতারেও এ ব্যবস্থা নেই। সরকারি এই প্রচারমাধ্যমের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি। দেশজুড়ে থাকা ১৪টি কেন্দ্রে আছেন পাঁচ শতাধিক বিসিএস কর্মকর্তাসহ তিন হাজার কর্মী। এত কিছু নিয়েও বাংলাদেশ বেতারের জনপ্রিয়তা ও শ্রোতার সংখ্যা শোচনীয়। বিপুল ব্যয়ের প্রতিষ্ঠানের বছরে আয় ১০ কোটি টাকার কম।

এর পাশাপাশি অন্যান্য খবরগুলো দেখে আসি—

প্রথম আলো

বছরে বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকার বেশি, তবু শ্রোতা নেই বাংলাদেশ বেতারের

শ্রোতারা বলছেন, বাংলাদেশ বেতার তাঁদের শোনার প্রয়োজন হয় না। ভালো গান বা সংবাদে বিশেষ কিছু পান না তাঁরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেতারকে সময়োপযোগী করতে সম্পাদনা নীতিতে পরিবর্তন ও প্রতিযোগিতামূলক করার বিকল্প নেই। 

আজকের পত্রিকা

কবিতার বইয়ের প্রচ্ছদে হাসিনার ছবি, ঝুলে গেল নিয়োগ

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিজের লেখা কবিতার প্রচ্ছদে ব্যবহারের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে নিয়োগ পেতে যাওয়া মো. আব্দুর রহিমের নিয়োগ ঝুলে গেছে।

যদিও মাসিক জনপ্রশাসন পত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ এবং ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ কবিতার প্রচ্ছদ বিকৃতির বিষয়ে ভুল স্বীকার করেছেন সাময়িকীটির সম্পাদক এবং প্রকাশক নঈম মাশরেকী। এর আগে গত সোমবার রাষ্ট্রমালিকানাধীন ৬ এবং ৪ বিশেষায়িত মিলিয়ে ১০ ব্যাংকে এমডি নিয়োগ দেয় সরকার। আব্দুর রহিম ছাড়া বাকি ৯ ব্যাংকের এমডি ইতিমধ্যে যোগদান করেছেন।

মানবজমিন

২০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটক ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ফাইভ-জি প্রকল্পে ২০ কোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। টেলিটকের চার কর্মকর্তা কোম্পানির মগবাজার অফিসে বসে ওই ঘুষ গ্রহণ করেন। কর্মকর্তারা হলেন- প্রকল্পের তৎকালীন পিডি খায়রুল হাসান, ডিপিডি খালেদ হোসেন, জিএম মামুন ও আশরাফ। প্রকল্পের নাম-এক্সপানশন অফ টেলিটক’স নেটওয়ার্ক আপ টু রুরাল এরিয়াস অ্যান্ড নেটওয়ার্ক রিডিনেস ফর ফাইভ-জি সার্ভিস প্রজেক্ট।

বর্তমানে প্রজেক্টটির কাজ অর্ধেকের মতো শেষ হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ২০ কোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বিষয়টি অস্বীকার করেন। এদের মধ্যে কেউ কেউ প্রতিবেদককে অফিসে কিংবা আলাদাভাবে দেখা করার অনুরোধ জানান। অন্যদিকে হুয়াওয়ে ঘুষ লেনদেন বিষয়ে মানবজমিনের লিখিত প্রশ্নে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেখানে এ ধরনের কোনো লেনেদেন হয়নি বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। মূলত টেলিটকের ফাইভ-জি প্রযুক্তিতে নিম্নমানের ডিভাইস ও ইকুইপমেন্ট সরবরাহ করতে টেলিটকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ঘুষ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন এর সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ।

বণিক বার্তা

রিজার্ভের পতনে বিদেশী বিনিয়োগে ভাটা নামে

কভিডের সময় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশে গ্রস বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৩ বিলিয়ন ডলার। এর পরের বছর ডিসেম্বরে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ বিলিয়ন ডলারে। কভিডের অভিঘাত পার করে যে সময় অর্থনীতির পুনরুদ্ধার জোরালো হয়ে ওঠার কথা, ঠিক সে সময়েই দেশের রিজার্ভে পতন শুরু হয়। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ তা নেমে আসে ২৭ দশমিক ১৩ বিলিয়নে। তবে সে সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবায়ন পদ্ধতি আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল।

ক্রমাগত রিজার্ভ কমতে থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ বাংলাদেশ সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী গত বছরের জুলাই থেকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বিপিএম৬ পদ্ধতিতে এর হিসাবায়ন শুরু করে। এ পদ্ধতি অনুযায়ী ২০২৩ সাল শেষে বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। রিজার্ভ পতনের এ পুরো সময়ে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগের (এফডিআই) প্রবাহও ছিল নিম্নমুখী ধারায়।

কালের কণ্ঠ

‘গৌরবের ইতিহাস’ থেকে ছিটকে যাওয়া ছাত্রলীগ

বিস্ময়কর হলেও সত্য, আওয়ামী লীগেরও জন্ম হওয়ার এক বছর আগে জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। তখন নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। এর এক বছর পরে জন্ম হয় আওয়ামী লীগের। কোনো সন্দেহ নেই, ভাষা আন্দোলন, স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনেও বড় ভূমিকা রেখেছিল ছাত্রলীগ।

বণিক বার্তা

আগে সবচেয়ে বেশি ফ্ল্যাট কেনাবেচা ছিল মোহাম্মদপুরে পরে এগিয়েছে গুলশান

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা নেয়ার বছর ২০০৯ সালে রাজধানীবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিল মোহাম্মদপুর এলাকার ফ্ল্যাটের। সে তুলনায় বেশ পিছিয়ে ছিল গুলশান ও ধানমন্ডির মতো অভিজাত এলাকাগুলো।

যদিও সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এ চিত্র পুরোপুরি বদলে গেছে। গত বছর গুলশানের ফ্ল্যাট কেনায় সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেছে মানুষ। এর বিপরীতে মোহাম্মদপুরে ব্যয় হয়েছে সবচেয়ে কম। মূলত নিম্নমধ্যবিত্তের ক্রয়ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে আসার পাশাপাশি উচ্চবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণীর কাছে নগদ টাকা বেড়ে যাওয়ার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

সমকাল

শিক্ষার্থীদের দাবির মুখেও টিকে গেলেন রাষ্ট্রপতি!

পদ ছাড়ার চাপ থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মতানৈক্যে আপাতত বঙ্গভবন ছাড়তে হচ্ছে না রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে! যদিও তাঁকে ঘিরে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ এখনও প্রশমন হয়নি। রাষ্ট্রপতি প্রশ্নে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারও।

গতকাল বুধবার দুপুরে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে। বিএনপি এ মুহূর্তে রাষ্ট্রপতির অপসারণ নিয়ে ‘নতুন সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক জটিলতা’ সৃষ্টির বিপক্ষে দলীয় অবস্থানের কথা প্রধান উপদেষ্টাকে জানায়। তবে সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে বিএনপির এই অবস্থান প্রত্যাখ্যান করে পাঁচ দফা দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি পদে মোঃ সাহাবুদ্দিন কত সময় টিকতে পারবেন, তা নিয়ে এখনই নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না। 

দেশ রূপান্তর

এক আদালতে ৮৪ আইন কর্মকর্তা

জেলা দায়রা বা মহানগর দায়রা আদালতে একেকটি এজলাসে বিচারকাজ পরিচালনা করতে রাষ্ট্রপক্ষে সাধারণত সর্বোচ্চ ১০ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু এবার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে ঢাকার দুটি আদালতে।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে ৮৪ জন এবং ঢাকা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৬১ জন বিভিন্ন পদমর্যাদার সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এর আগে মহানগর দায়রা জজ আদালতে চার এবং জেলা দায়রা জজ আদালতে ৯ জন আইন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ চারজনের স্থলে ৮৪ এবং ৯ জনের স্থলে ৬১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

আজকের পত্রিকা

দেশে মৃত শিশু জন্ম বাড়ছে, ৮ কারণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা

মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্যের বিভিন্ন সূচকে গত কয়েক দশকে উন্নতি করেছে বাংলাদেশ। তবে উন্নতির সেই ধারাবাহিকতায় বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে রয়ে গেছে মায়ের গর্ভে সন্তান মারা যাওয়া বা মৃত সন্তান প্রসব (স্টিলবার্থ)। এ ক্ষেত্রে উন্নতি তো হচ্ছেই না, বরং দিন দিন মৃত সন্তান প্রসবের হার বাড়ছে। খোদ সরকারের পরিসংখ্যানে উঠে এসেছে, বর্তমানে দেশে প্রতি হাজারে ১৪টি মৃত শিশুর জন্ম হচ্ছে।

জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, মৃত সন্তান প্রসব একটি প্রতিরোধযোগ্য জনস্বাস্থ্য সমস্যা। যদিও এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। তবে সব কারণই সমাধানযোগ্য। প্রসূতির মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা গেলে মৃত সন্তান প্রসব অনেকাংশেই প্রতিরোধ সম্ভব।

প্রথম আলো

ছয় সংস্কার কমিশনে সংখ্যালঘু প্রতিনিধিত্ব নেই, নারী কম

সংবিধান, বিচার বিভাগসহ ছয়টি ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলো প্রতিনিধিত্বশীল হয়নি। কোনোটিতেই ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। নারীর সংখ্যাও কম।

পূর্ণাঙ্গভাবে ঘোষিত ছয়টি কমিশনের মোট সদস্য ৫০ জন। এর মধ্যে সাবেক আমলা ১৫, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ২, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ৮, বিচারপতি ও বিচারক ৫, আইনজীবী ৬, শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ৬ এবং অন্যান্য পেশার (এনজিও, মানবাধিকারকর্মী, বিশেষজ্ঞ ইত্যাদি) ৮ জন। এসব পেশাজীবীর মধ্যে নারী পাঁচজন। শিক্ষার্থী প্রতিনিধি ছয়জনের মধ্যে শুধু একজনের নাম জানানো হয়েছে।

এর বাইরে চারটি কমিশনের শুধু প্রধানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে ১০টি কমিশনের প্রধান পদে নারী স্থান পেয়েছেন মাত্র একজন। তা–ও নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনে।

এছাড়া সচিবালয়ে ঢুকে পড়া অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আটক; রাষ্ট্রপতি ইস্যু রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়; জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের খপ্পরে; তত্ত্বাবধায়ক ফেরাতে রিভিউ শুনানি আজ; দুর্নীতি মামলায় বাবরের ৮ বছরের সাজা বাতিল; ফের সাংবিধানিক সংকট দেখতে চায় না বিএনপি; সংবিধান ও রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে জাতীয় ঐক্যের ডাক—সংবাদগুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।