ডিসি নিয়োগের নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ানোর অভিযোগ
প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মহাপরিচালককে বদলি
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকীকে অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) বদলি করা হয়েছে।
সোমবার তাকে বদলি করা হয়। তারপর প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী বলেন, রোববার (১৭ অক্টোবর) আমি অর্ডার পেয়েছি অর্থনীতি সম্পর্ক বিভাগে (ইআরডি) আমাকে যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
সূত্র জানায়, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হিসেবে তার কার্যালয়ে (বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা) দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী। তিনি পরিচালক থেকে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার মহাপরিচালক (প্রশাসন) হয়েছেন। তবে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সপদে বহাল ছিলেন তিনি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে দীর্ঘদিন কর্মরত থাকায় প্রশাসনে বেশ প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ছিলেন আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী। এমনকি জনপ্রশাসনে বদলি ও পদোন্নতির পেছনে তার হাত থাকত এবং অতীতের মতো এখনও সেই প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করে আসছিলেন তিনি।
একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ নিয়ে যে বিতর্ক এবং সংকট সৃষ্টি হয়েছে তার নেপথ্যে আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী কলকাঠি নেড়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের সময় লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম সচিবসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন তিনি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকী বলেন, ওই অভিযোগগুলোর সঙ্গে আমার কাজের ক্ষেত্রের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। আমাদের অফিস যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেটার রিস্টোরেশনের জন্য আমাকে কাজ করতে হয়েছে। সুতরাং যে প্রশ্নগুলো উত্থাপিত হয়েছে, তার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতা আমার নেই।
উল্লেখ্য, শনিবার (১৯ অক্টোবর) চট্টগ্রামে এক কর্মসূচিতে সরকারের শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এখনো প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে অস্থবিরতা আছে। এটার জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। সরকারকে হয়ত অনেক কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে।
এনএম/এমজে