চট্টগ্রামের বিমানের টিকিট সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের মাধ্যমে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী এস এম মোদাচ্ছের শাহ। এ নিয়ে গত ১৬ অক্টোবর জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট : লিখিত অভিযোগ আমিরাত প্রবাসীর’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলে দেওয়া লিখিত অভিযোগে প্রবাসীর মোদাচ্ছের শাহর অভিযোগের ভিত্তিতে চট্টগ্রামের চট্টগ্রামের ট্রাভেল এজেন্সি ‘ট্রাভেল জোন’ নাম উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে ট্রাভেল জোন। সেখানে তারা উল্লেখ করেছে, ‘গত ১৬ অক্টোবর অনলাইন সংবাদপত্র ঢাকা পোস্টে ‘বিমানের টিকিট সিন্ডিকেট : লিখিত অভিযোগ আমিরাত প্রবাসীর’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে একজন প্রবাসীর অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এতে আমাদের ট্রাভেল জোনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও ওই ব্যক্তি ট্রাভেল জোন থেকে সরাসরি কোনো সেবা গ্রহণ করেননি। প্রবাসী মো. মোদাচ্ছের তার মূল টিকেট ক্রয় করেছিলেন শারজাহর এক সাব-এজেন্ট থেকে, যা পরবর্তীতে আমাদের বাংলাদেশের সাব-এজেন্টের (আল্লামা সাত ট্রাভেলস) কাছে বিক্রি করা হয়। বিষয়টি আমরা পরে তার মারফতে জানতে পারি।’

এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ওই প্রবাসীর ফ্লাইটের তারিখ ছিল ৩১ আগস্ট ২০২৪। কিন্তু তিনি ওই তারিখে ভ্রমণ না করে পরবর্তীতে ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন করতে চাইলে অপরাগ হন। এ অবস্থায় তিনি যখন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন আমাদের ট্রাভেল জোন থেকে মূল টিকেটটি ইস্যু করা হয়েছিল, তখন তিনি আমাদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিহের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রবাসী যাত্রী মো. মোদাচ্ছেরের সুবিধা মতো ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন। তিনি ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তনে কোনো প্রকার লেনদেন ছাড়া ওই প্রবাসী যাত্রীর কাঙ্ক্ষিত তারিখের টিকিটটি রি-ইস্যু করে দেন। ওই ব্যক্তি ট্রাভেল জোনের সঙ্গে টাকার লেনদেন করার যে দাবি বা অভিযোগটি করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। যেহেতু তার সঙ্গে আমাদের কোনো লেনদেন হয়নি, সেহেতু তিনি এ সম্পর্কিত ট্রাভেল জোনের সঙ্গে কোনো প্রকার লেনদেনের প্রমাণ দিতে পারবেন না।

এসএসএইচ