বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত দুইজন রোগীর চোখে সফলভাবে কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয়েছে। প্রায় আড়াই মাস পর কয়েকটি দেশের সহযোগিতায় এটি সম্ভব হয়েছে।

রোববার (২০ অক্টোবর) রাজধানীর চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউটে ৪ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে এই কর্নিয়া প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়।

সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, সেবা ফাউন্ডেশন, ইউএসএ, নেপাল থেকে অতি সংবেদনশীল কর্নিয়াল টিস্যু বাংলাদেশে সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর আগে সেবা ফাউন্ডেশন থেকে ৪০টি কর্ণিয়া পাওয়ার আশ্বাস পাওয়া গেছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথমবারের মতো আন্দোলনে আহত দুইজনের চোখের কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট করা হয়েছে।

উপদেষ্টা বলেন, কোটাবিরোধী ও বিগত সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হন শিক্ষার্থীসহ অনেক সাধারণ মানুষ। যারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের সুচিকিৎসার লক্ষ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষায়িত ডেডিকেটেড কেয়ার ইউনিট গঠন করা হয়েছে। এতে আহতদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসারত আহতদের সবাইকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি আমরা। আমরা আহত সবার চিকিৎসা নিশ্চিত করবো।

এ সময় জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমেদ চৌধুরীসহ হাসপাতালের ডাক্তাররা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, রাজধানীর ১৩টি সরকারি হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হতাহতরা বিনামূল্যে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ওই ১৩ হাসপাতাল হলো, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ), কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মুগদা জেনারেল হসপিটাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (জাতীয় পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউট, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল।

টিআই/এফআরএস