বাংলাদেশ থেকে সৌদিগামী প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য দেশটিতে প্রবেশে নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২০ মে থেকে নতুন এই বিধিনিষেধ কার্যকর করা হবে।

রোববার (১৬ মে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে এক চিঠিতে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদির সিভিল এভিয়েশন।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, যারা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেননি, তারা সৌদি আরবে প্রবেশ করলে সাত দিন হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। সেক্ষেত্রে হোটলের খরচ নিজেকেই বহন করতে হবে। 

সৌদি জানায়, সৌদি আরবে যাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর পদ্ধতিতে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এলেই কেবল ঢাকা থেকে যাত্রীরা ফ্লাইটে উঠতে পারবেন। সৌদিতে পৌঁছানোর পর আরও দুই বার করোনা পরীক্ষা করতে হবে। প্রথমবার পরীক্ষা করতে হবে সৌদি আরবে পৌঁছানোর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। ষষ্ঠ দিনে আবারও পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষার খরচ যাত্রীকেই বহন করতে হবে। দুই বার পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট এলে হোটেলে কোয়ারেন্টাইন থেকে সপ্তম দিনে নিজের বাসায় যাওয়া যাবে।

বিমানবন্দরকে দেওয়া সৌদির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, যারা পূর্ণ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে ফাইজার-বায়োএনটেকের দুই ডোজ, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দুই ডোজ, মডার্নার দুই ডোজ এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকার এক ডোজ যারা নিয়েছেন তারা হোটেলে বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে থাকার বদলে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকার সুবিধা পাবেন।

এছাড়াও প্রথমবারের মতো সৌদি প্রবাসীকে সৌদি আরবে যাওয়ার আগে হেলথ ইন্সুরেন্স করাতে হবে। করোনা হলে ইনস্যুরেন্স প্রতিষ্ঠান তার চিকিৎসা ব্যয় বহন করার বিষয়ে ইনস্যুরেন্সে স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। এসব ক্ষেত্রে মিথ্যা তথ্য দিলে শাস্তি হিসেবে দেশে পাঠিয়ে দেওয়ার কোথাও বলেছে সৌদি সরকার।

সিভিল এভিয়েশনের দেওয়া চিঠিতে করোনা নিয়ে সরকারি পাবলিক প্রসিকিউসন বিভাগের জারি করা একটি আদেশ হুবুহু তুলে ধরা হয়। আদেশটিতে বলা হয়েছে, কেউ যদি করোনাভাইরাস ছড়ায় তাকে পাঁচ বছরের জেল এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে। যদি সেই ব্যক্তি প্রবাসী হয়, তবে তাকে শাস্তি দেওয়ার পর সৌদি আরব থেকে বিতাড়িত করা হবে এবং সে আর কোনোদিন সৌদি আরবে আসতে পারবে না।

বাংলাদেশ থেকে একমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স (সাউদিয়া), মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স (ট্রানজিট হয়ে) সৌদি আরবের বিভিন্ন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করে। 

এআর/জেডএস