কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানদের স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন
দেশের সব উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের স্বপদে পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন জনপ্রতিনিধিরা। দাবি না মানলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভাইস চেয়ারম্যানরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেন জনপ্রতিনিধিরা।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি লায়লা বানু বলেন, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ২০২৪ সম্পন্ন হয়েছে কয়েকমাস আগে। চারটি ধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একাধিক প্রতিবন্দ্বী প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আমরা নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু বিগত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯ আগস্ট উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যানদের অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক এক নির্বাহী আদেশে অপসারণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত অনভিপ্রেত ও অমানবিক।
আরও পড়ুন
‘জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের ফলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ভেঙে যাওয়াসহ সাধারণ জনগণের। সরকারের সেবা প্রত্যন্ত পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে এবং স্থানীয় সরকার কাঠামো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
ফোরামের সভাপতি আরও বলেন, চেয়ারম্যানগণ পলাতক ও অনুপস্থিত। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমাদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে অপসারণের দিন পর্যন্ত স্ব স্ব উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলাম যার দালিলিক প্রমাণ আমাদের নিকট রয়েছে। আজকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সরকার গুরুত্বসহকারে দেখবেন এবং তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের কথা চিন্তা করে আমাদের দাবি মেনে নেবেন।
দাবি না মানলে আগামীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে লায়লা বানু বলেন, পূর্ববর্তী কর্মসূচির মতো সরকার কর্ণপাত না করে বা জনগণের নাগরিক অধিকার, মানবাধিকার নিশ্চিত এবং সরকারের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে সাধারণ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আগামীতে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি কর্মসূচি দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে অপসারণ প্রত্যাহার করে আমাদের দাবি মেনে নিয়ে সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ত্বরান্বিত করতে ও জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা সুনিশ্চিত করতে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এ মানববন্ধনে জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা অংশ নেন। রাজশাহী জেলা পরিষদের সদস্য মহিদুল ইসলাম বলেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আমরা একটি জেলা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের আমাদের বৈষম্য করা হলো। আইনকে বাতিল করে আমাদের বাতিল করা হলো। দেশে গণঅভ্যুত্থান হতে পারে কিন্তু জনগণ কী আমাদের গণঅভ্যুত্থান করেছে? জেলা পরিষদের সদস্য, কাউন্সিল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বপদে বহাল দাবি জানাচ্ছি। আমাদের বৈষম্য করবেন না। জনগণের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেবেন।
এমএসআই/এমএ