চট্টগ্রামের মাটিতে শহীদ ওয়াসিম, শহীদ শান্ত এবং শহীদ হৃদয় তরুয়ার রক্ত লেগে আছে। সেই রাজপথে রাতের অন্ধকারে আওয়ামী লীগ স্লোগান দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে। এখানে পুলিশের ব্যর্থতা রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। দ্রুত ‘স্বৈরাচারের এসব দোসরদের’ গ্রেপ্তার করা না হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয় ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এলাকায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী জড়ো হয়ে এ অভিযোগ করেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, চট্টগ্রামের মাটিতে শহীদ ওয়াসিম, শহীদ শান্ত এবং শহীদ হৃদয় তরুয়ার রক্ত লেগে আছে। সেই রাজপথে তারা স্লোগান দেওয়ার মত দুঃসাহস দেখিয়েছে। দ্রুত তাদের খুঁজে বের করে বিষদাঁত ভেঙে দিতে। প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যারা সন্ত্রাসী, জুলাই অভ্যুত্থানে হামলায় সরাসরি জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে যথাযথ শাস্তি দিতে হবে।

তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, তারা ভেবেছিল আমরা ঘুমিয়ে গেছি, তারা বোঝেনি আমরা তাদের গর্ত থেকে বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই। যারা এখনো খুনি হাসিনার পক্ষ নিয়ে, স্বৈরাচারের পক্ষ নিয়ে যারা জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত- তারা কোনো না কোনোভাবে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যারা জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদের ওপর গুলি চালিয়েছে, আমাদের ভাই-বোনদের হত্যা করেছে। নির্বিচারে গুলি চালিয়েছ। আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা এখনো অবাধে ঘোরাফেরা করছে। তারই ফলস্বরূপ আমরা দেখেছি তারা হাইকোর্টে খুনি হাসিনার পক্ষে স্লোগান দেয়। রাতের আঁধারে ছাত্রলীগ খুনি হাসিনার জন্য স্লোগান দেয়।

চট্টগ্রামের আরেক সমন্বয়ক রাসেল আহমদ বলেন, চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ ও তার দোসরদের নিষিদ্ধের ঘোষণা করা হলো। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে না পারায়, এই মুহূর্তে মার্চ টু সিএমপি এবং সিএমপি ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হলো।

এমআর/এমএসএ