বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, নিয়ম পরিপন্থি কাজ করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড।

বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এই সাফল্যকে ম্লান করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল বেশ কিছুদিন ধরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী এই স্বার্থান্বেষী মহলের অপচেষ্টায় শামিল হয়েছে মর্মে সাম্প্রতিককালে তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হচ্ছে। তারা সমিতির সাধারণ কর্মকর্তা- কর্মচারীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক চাঁদা আদায়সহ তাদেরকে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণে বাধ্য করছেন। এ ধরনের বিভিন্ন অদাপ্তরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি সংবাদপত্রসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগসহ বাপবিবোর্ড সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এতে আরও বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি যেমন-চুক্তিভিত্তিতে নিয়োজিত ৪ হাজার ৭২৩ জন লাইনডুকে শূন্য পদের বিপরীতে নিয়মিত করা, সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন কার্যকর করা, ৪০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সুপারিশ অনুমোদনের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগে পত্র প্রেরণ, ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা  কার্যকর করা ইত্যাদি ইতোমধ্যে পূরণ করা হয়েছে। 

এছাড়াও, অভিন্ন সার্ভিস কোড ও একীভূত করার দাবিসহ অন্যান্য সমস্যাসমূহের যৌক্তিক সমাধানকল্পে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি কাজ করছে। দৈনিক ভিত্তিতে নিয়োজিত বিলিং সহকারী এবং ‘কাজ নাই মজুরি নাই’ ভিত্তিতে নিয়োজিত লাইন শ্রমিক ও চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার-কাম-ম্যাসেঞ্জারগণের দাবির বিষয়ে যৌক্তিক সমাধানের লক্ষ্যে ভিন্ন ভিন্ন ৩ টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লিখিত প্রতিটি কমিটিতে পবিসের প্রতিনিধিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম বর্তমানে চলমান রয়েছে। তাছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিভিন্ন শ্রেণীর কর্মচারীদের মধ্যে বেতন গ্রেড, পদোন্নতি ও বেতন বৈষম্যসহ অন্যান্য বিষয়ে (যদি থাকে) বিদ্যমান জটিলতা চিহ্নিত করা এবং তা যৌক্তিকভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কর্মচারী চাকরি বিধি, ১৯৯২ (সংশোধিত-২০১২) এর মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/ কর্মচারীদের চাকরি নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। সমিতির কোন কর্মকর্তা/ কর্মচারী চাকরির শর্ত ভঙ্গ করলে বা চাকরির শৃঙ্খলা বা নিয়মের হানিকর অথবা শোভনীয় নয় এমন কোন আচরণ বা কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করলে তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রয়েছে।

এমতাবস্থায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে চাঁদা আদায়, সভা-সমাবেশ আয়োজন ও অংশগ্রহণ, অফিস ঘেরাও, সংবাদপত্রে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও বিবৃতি প্রদান প্রভৃতি না করা এবং ফেসবুকসহ যেকোনো ডিজিটাল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা না চালানোর জন্য সকলকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। এর ব্যত্যয় হলে তা গুরুতর অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ওএফএ/এমএ