‘প্রতিবছর সিজনের শুরুতে সেন্ট মার্টিন নিয়ে একটা তালবাহানা শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত সরকারের করা নীতিকে বাস্তবায়নের জন্য যে ঘোষণা পরিবেশ উপদেষ্টা দিয়েছেন সেটা আমাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। আমরা পরিবেশ রক্ষার বিপক্ষে নয়। আমরা পরিবেশকে রক্ষা করে চলতে চাই। সেন্ট মার্টিনে রাত্রিযাপনসহ পর্যটনকে অব্যাহত রাখতে হবে। এটা না করলে জাতির জন্য একটা বড় বিপর্যয় হবে।’

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে সেন্ট মার্টিন্স দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা উন্নয়ন জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশী এসব কথা বলেন। 

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের (টোয়াক) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টা বরাবর আবেদন করব এবং স্মারকলিপি দেব। পরিবেশ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রাত্রিযাপনের অনুমতি দিতে হবে। প্রয়োজনে সর্বোচ্চ দুই রাতের অনুমতি দেন। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে অনেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রয়েছে, যেগুলোকে পরিবেশবিদরা খুবই সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছেন। আমরাও চাই আপনারা পরিবেশ রক্ষার পর্যবেক্ষণ জোরদার করে রাত্রিযাপনের অনুমতি দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে সেন্ট মার্টিনকে পরিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিবেশ সংকটাপন্ন দ্বীপ ঘোষণা করার পর থেকে পরিবেশ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে সেন্ট মার্টিন দ্বীপকে বিশ্ব রোল মডেল পর্যটন হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছিল। আমরা পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় গিয়ে বারবার অনুরোধ করেছিলাম যে আপনাদেরকে মাস্টার প্ল্যানের রোল মডেলের ম্যাপটি দেখান। কিন্তু পরিবেশ মন্ত্রণালয় আমাদেরকে বারবার মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আমরা বলতে চাই, একটা সেক্টরকে মেরে ফেলে আরেকটা সেক্টরকে উন্নয়ন করা যায় না। 

তারা আরও বলেন, সেন্ট মার্টিনে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। আজকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপ নিয়ে যদি ষড়যন্ত্র করা হয় তাহলে  লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে যাবে। 

মানববন্ধন শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিকট একটি স্মারক লিপি প্রদান করবেন বলে জানিয়েছেন বক্তারা।

ওএফএ/এমএ