আমদানি করা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রূপান্তর করে সরবরাহের জন্য পটুয়াখালীর পায়রায় একটি ভাসমান টার্মিনাল নির্মাণে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটের সঙ্গে সই হওয়া টার্মশিট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি কক্সবাজারের মহেশখালীতে সামিটের সঙ্গে এ ধরনের একটি চুক্তি বাতিল হয়েছে।

বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) তথ্যমতে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের অধীন ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল গত আওয়ামী লীগ সরকার। নতুন সরকার বিশেষ বিধান আইনের অধীন কোনো চুক্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই এক্সিলারেটের সঙ্গে টার্মিনাল নির্মাণে চুক্তি হচ্ছে না। এ চুক্তি করতেই গত বছরের নভেম্বরে টার্মশিট সই করা হয়েছিল।

এ বিষয়ে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানান, দুটি ভাসমান ও স্থলভাগের একটি মিলে মোট তিনটি এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হবে। প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে বাছাই করে চুক্তি করা হবে।

এর আগে চুক্তির শর্ত ভঙ্গের দায়ে ৭ অক্টোবর সামিটের এলএনজি টার্মিনাল বাতিল করা হয়েছে। এটি নির্মাণে সামিটের সঙ্গে চুক্তি হয় গত ৩০ মার্চ। এ সিদ্ধান্ত পুনরায় বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে ইতিমধ্যে আপিল করেছে সামিট। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্মিত সামিট ও এক্সিলারেটের আগের দুটি টার্মিনাল থেকে নিয়মিত এলএনজি সরবরাহ করা হচ্ছে।

ওএফএ/পিএইচ