সম্প্রতি সীমান্তবর্তী রাজ্যে সংঘাতের কারণে মিয়ানমারের ৪০ হাজার নাগরিক বাংলাদেশে অনুপ্রেবেশ করেছে। দেশটির এসব নাগরিকের অনুপ্রবেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের নতুন রাষ্ট্রদূত কাও সো মো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাতে এলে তিনি এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

বৈঠকে রোহিঙ্গাদের টেকসই প্রত্যাবাসনসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। উপদেষ্টা সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংঘাতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে নতুন করে ৪০ হাজার মিয়ানমারের নাগরিকের প্রবেশের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেন, যা উভয় দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

উপদেষ্টা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়ে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।

মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত সংঘাতের কারণে সৃষ্ট অসুবিধার কথা স্বীকার করেন। তিনি রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন বিলম্বের কারণ তুলে ধরেন।

উপদেষ্টা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগের অংশ হওয়ার জন্য মিয়ানমারের সমর্থন চান।

উভয়পক্ষ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য শক্তিশালীকরণ, জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং ঢাকা ও ইয়াঙ্গুনের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা করেন। তারা দুই দেশের মধ্যে আলোচনাধীনে শিপিং চুক্তি চূড়ান্ত করার ওপর জোর দেন।

এনআই/এমজে