‘সরকারি হাসপাতালে ইনজেকশনের পর অসুস্থ ৩০ রোগী’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রোগীর সেবায় ব্যবহৃত ইনজেকশনসমূহে কোনো ত্রুটি বা মেয়াদোর্ত্তীণ ছিল কি-না কিংবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক বলে মনে করছে মানবাধিকার কমিশন।

জাতীয় মানবাধিকারের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘সরকারি হাসপাতালে ইনজেকশনের পর অসুস্থ ৩০ রোগী’ শিরোনামে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে। ইনজেকশন দেওয়ার পর রোগীর শরীরে বিরূপ প্রভাব বা জটিলতা দেখা দেওয়ার ঘটনাটি অত্যন্ত অনভিপ্রেত। ঘটনায় পরিলক্ষিত হয় যে, বিভিন্ন রোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তিরত রোগীদের শরীরে নির্দিষ্ট দুইটি গ্রুপের ইনজেকশন দেওয়ার পর তাদের শরীরে প্রতিকূল প্রভাব দেখা দেয়। ফলে তারা গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পরে এবং অন্যান্য রোগীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়ে কমিশন আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমটো) গ্রহণ করেছে।

কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং এতে চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। রোগীর সেবায় ব্যবহৃত ইনজেকশনসমূহে কোনো ত্রুটি বা মেয়াদোর্ত্তীণ ছিল কি-না কিংবা প্রয়োগের ক্ষেত্রে যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়েছে কি-না তা খতিয়ে দেখা আবশ্যক। 

কমিশনের সুয়োমোটো আদেশে উল্লেখ করা হয়, অসুস্থদের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ ঝুঁকি নির্ণয়সহ সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার যথাযথ কারণ উল্লেখপূর্বক কমিশনে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য শেরপুর জেলা সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। 

আদেশের অনুলিপি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং শেরপুর জেলা প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। 

জেইউ/এমজে