রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী মিন্টু শিকদারকে উদ্ধারসহ এক অপহরণকারীকে গোপালগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির বাড্ডা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. ইয়াছিন শিকদার (২৭)।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টায় গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অপহরণের কাজে ব্যবহৃত একটি গাড়ি জব্দ করা হয়।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভুক্তভোগী মিন্টু শিকদারের বড় ভাই মো. আব্দুল কাদের শিকদার বাড্ডা থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মিন্টু শিকদার সিটি মানি এক্সেঞ্জ লিমিটেডের প্রোপাইটর ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর। মিন্টু শিকদার ও তার মামাতো ভাই আমির হামজা গত ১৪ অক্টোবর  সকাল আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে মধ্য বাড্ডার বৈশাখি সরণি এলাকার ভাড়া বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। সকাল আনুমানিক ৯টায় তারা বাড্ডা থানার গুদারাঘাট বাড্ডা হাইস্কুল গলি লেকপাড় এলাকায় পৌঁছালে গ্রেপ্তার ইয়াসিন শিকদারসহ অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ব্যক্তি তাদের পথ রোধ করে মিন্টু শিকদারকে জোরপূর্বক একটি সাদা সিএইচআর গাড়ি যোগে অপহরণ করে নিয়ে যান। এসময় তার মামাতো ভাই মো. আমির হামজাকে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেওয়া হয়।

ডিসি তালেবুর রহমান জানান, মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী ও ভিকটিমের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গোপালগঞ্জ থানা পুলিশের সহায়তায় গোপালগঞ্জ সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারী ইয়াছিন শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ভিকটিম মিন্টু শিকদারকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণের কাজে ব্যবহৃত গাড়িটিও জব্দ করা হয়।

তিনি জানান, অপহরণকারী ইয়াছিন শিকদার একজন পেশাদার প্রতারক। সে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে টার্গেট করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করত। সে অর্থ আত্মসাৎ করার উদ্দেশে ভিকটিম মিন্টু শিকদারকে অপহরণ করেছিল বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।

গ্রেপ্তার ইয়াছিন শিকদারকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান ডিএমপির এ কর্মকর্তা।

এমএসি/এসএসএইচ