ঈদ শেষে রাজধানীতে ফিরছে মানুষ
ঈদের ছুটি শেষে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাজধানীতে ফিরছে সাধারণ মানুষ। কেউ বিভিন্ন গাড়ি বদলে, কেউবা মাইক্রোবাসে সরাসরি ঢাকায় ফিরছে। অনেকেই সাভার অথবা আমিনবাজার নেমে গণপরিবহনে রাজধানীতে প্রবেশ করছে। ভোগান্তির এ যাত্রা শেষে রাজধানীতে ফিরতে পেরে খুশি তারা।
রোববার (১৬ মে) সকাল নয়টা থেকে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। অনেকেই পরিবার নিয়ে ফিরছে। কেউ কেউ সমবয়সীদের সঙ্গে কেউবা একাই আসছে। কর্মব্যস্ত এসব মানুষের যেন সময় নেই। কত দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেই তাড়া দেখা গেল সবার মাঝে। যাত্রাপথে ভোগান্তি হলেও পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে কর্মক্ষেত্র ঢাকায় ফিরতে পেরে বেশ খুশি তারা।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল থেকে শিপন আহমেদ মাইক্রোবাসে এসে নেমেছেন সাভার। সেখান থেকে গণপরিবহনে গাবতলীতে নামেন তিনি। আলাপকালে শিপন ঢাকা পোস্টকে বলেন, মোট পাঁচজন ছিলাম মাইক্রোবাসে। সবাই সাভারেই নেমেছি। আসতে বেশ কষ্টই হয়েছে। মোট ১২০০ টাকা খরচ হয়েছে। তারপরও যে ঢাকাতে আসতে পারছি, আমি তাতেই খুশি। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করলাম, অনেক ভালো সময় কেটেছে। যা কষ্ট পথেই হয়েছে।
আরও পড়ুন : পাটুরিয়ায় ঢাকামুখী মানুষের চাপ, চলছে ১৬ ফেরি
মানিকগঞ্জ থেকে প্রায় তিন ঘণ্টায় গাবতলী পৌঁছেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিভিন্ন পরিবহন পরিবর্তন করে অবশেষে গাবতলী এলাম। সেই সকালে রওনা হয়েছি। অনেক কষ্ট করেই পৌঁছলাম।
আরও পড়ুন : সিরাজগঞ্জে মহাসড়কে চলছে দূরপাল্লার বাস
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুর থেকে ভোরে রওনা হয়ে সকাল সোয়া দশটার দিকে গাবতলী পৌঁছেছেন মো. ইমরান হোসেন। তিনি বলেন, বাবা মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। আজ অফিস খোলায় চলে আসতে হলো। বাড়িতে সবার সঙ্গে দেখা হওয়ায় খুব ভালো সময় কেটেছে। আসলে জীবিকার জন্য ঢাকাতে থাকা। ঈদে ঢাকায় ঘরবন্দি থাকতে চাইনি। চেয়েছি ঈদের আনন্দ মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে। তাই কষ্ট হলেও বাড়িতে যাই। যদিও বেশ কয়েকটি পরিবহন পরিবর্তন করতে হয়েছে। খরচও বেশি হয়েছে। আজ থেকেই অফিস শুরু। কর্মব্যস্ত দিন শুরু হবে আবার।
রাজধানীতে ফেরা অনেকের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। অধিকাংশই জানান, পথে কিছুটা ভোগান্তি হলেও নিরাপদে কর্মস্থল ও গন্তব্যে ফেরাই তাদের মূল চ্যালেঞ্জ ছিল। এখানে তারা জয়ী। তবে সবাই যে ছুটি বা আনন্দ করতে গিয়েছিলেন এমন নয়। অনেকেই জরুরি প্রয়োজনেও ঈদের ছুটিতে বাড়ি গিয়েছিলেন। আবার কেউ কেউ ঢাকায় অসুস্থ আত্মীয়ের সেবার জন্য রাজধানীতে প্রবেশ করছেন।
একে/এইচকে