চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর আহত বন্য হাতিটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে হাতিটি চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। তবে অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে হাতিটিকে রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজরা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়।

বন সংরক্ষক তপন কুমার দে গণমাধ্যমকে বলেন, ভোরে স্থানীয় বনবিভাগ, চুনতি বন বিট, ডুলাহাজরা সাফারি পার্কের চিকিৎসক দল আহত হাতিটিকে ঘটনাস্থল থেকে ক্রেনের সাহায্যে উদ্ধার করে। এরপর রেলওয়ের রিলিফ ট্রেনে করে হাতিটিকে কক্সবাজার ডুলাহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়।

চুনতি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদ হোসেন জানান, ছয়টি হাতির একটি দল রোববার সন্ধ্যা থেকে অভয়ারণ্যে বিচরণ করছিল। হাতি যাতে রেললাইনে ঢুকতে না পারে, সেজন্য এলিফ্যান্ট ওভারপাসের উভয় পাশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু ওভারপাসের উত্তর পাশে চলাচলের ছোট একটি পথ রয়েছে। সে পথ দিয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক একটি স্ত্রী হাতি দল থেকে আলাদা হয়ে যায়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনে কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঈদ স্পেশাল-১০ ট্রেন হাতিটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই হাতি গুরুতর আহত হয়।

হাতিটির পেছনের ডান পা ভেঙে গেছে, মাথায় এবং মেরুদণ্ডে গুরুতর জখম হয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই বন বিভাগের কর্মকর্তারা সেখানে যান। ডুলাহাজরা সাফারি পার্ক থেকে চিকিৎসক এনে ব্যথানাশক ইনজেকশন ও বিভিন্ন ওষুধ খাইয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

সোমবার রাতে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে হাতিটির উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক বিবেক চন্দ্র সূত্রধরের নেতৃত্বে একটি টিম গঠনের কথা জানানো হয়।

ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি অফিসার হাতেম সাজ্জাত মো. জুলকার নাইন জানান, হাতিটির বয়স ৮ থেকে ১০ বছর। মাথায় আঘাতের কারণে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমরা ব্যথানাশক ওষুধ দিয়েছি। তবে অবস্থা গুরুতর।

আরএমএন/এসকেডি