দ্রুতগতির আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেলে ভ্রমণে সাধারণ যাত্রীদের শুধু একবার ব্যবহারের জন্য দেওয়া হয় ‘সিঙ্গেল জার্নি টিকিট’। ভ্রমণ শেষে সেই টিকিট কনকোর্স প্লাজার গেটে জমা করে বের হতে হয়। কিন্তু অনেক যাত্রী সেটি জমা দেননি বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। সঙ্গে নিয়ে যাওয়া সেসব টিকিট যাত্রীদের ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ।

তিনি বলেন, সবগুলো স্টেশন মিলে ২ লাখ ৬৮ হাজার ৪৪১টি একক যাত্রার টিকিট দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে দেড় হাজার কার্ড হারিয়েছে। ডেমেজ হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়েছে ৬ হাজার ৮৮১টি কার্ড। মিসিং আছে প্রায় ২ লাখ কার্ড। মিসিং কার্ডের অধিকাংশই যাত্রীরা সঙ্গে করে নিয়ে গেছেন।

যাত্রীদের এসব কার্ড ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, একক যাত্রার টিকিট মেট্রোরেল স্টেশনের বাইরে নেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। এগুলো বাইরে নিয়ে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই অনুরোধ রইল এসব কার্ড নিকটবর্তী স্টেশনে ফেরত দেবেন। এতে রাষ্ট্র আর্থিক ক্ষতি থেকে বাঁচবে।

শুক্রবার চলবে ৭২ ট্রেন

শুক্রবার ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে জানিয়ে মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, আগামী শুক্রবার থেকে মেট্রোরেলের হেডওয়ে (দুই ট্রেনের চলাচলের মধ্যবর্তী সময়) ১২ মিনিটের জায়গায় ১০ মিনিট করা হবে। এতে ৬০টির পরিবর্তে ৭২টি ট্রেন চলাচল করবে।

মেট্রোরেলের আয় তুলে ধরে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে ২৫ আগস্ট থেকে মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আয় হয়েছে ৫ কোটি টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে আয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা। অক্টোবরে প্রথম ১৩ দিনে আয় হয়েছে ১১ কোটি ২২ লাখ টাকা। অক্টোবরে চার দিন ছুটি থাকায় রাজস্ব আয় একটু কম হয়েছে। বর্তমানে মেট্রোরেলের দিনে গড়ে আয় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা। ২০২৫ সালের পর এটির লাভ ক্ষতি নিয়ে কথা বলা যাবে। তখন পুরোপুরি কমলাপুর পর্যন্ত চালু হবে।

এমএইচএন/এসএসএইচ