জনপ্রশাসন সংস্কার নিয়ে তিন মাস কাজ করবে সংস্কার কমিশন। তিন মাসের মধ্যেই সুপারিশ দেওয়ার চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সচিবালয়ে কমিটির প্রথম সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। 

তিনি বলেন, ‘সংস্কারের ব্যাপারে আজ প্রথম মিটিং হয়েছে। আজকে জাস্ট পরিচিতির জন্য নিজেদের মধ্যে কিছু কথাবার্তা বলেছি। সংস্কার নিয়ে তিন মাস কাজ করব। প্রথম দিনেই আমরা কীভাবে বলে দেব বাচ্চা ছেলে না মেয়ে হবে? এটা সম্ভব না, এটা আস্তে আস্তে আগাবে।’

আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে আলোচনা করেছি সার্বিক বিষয়ে কী হতে পারে, তা নিয়ে। এখন আমরা এটাকে আস্তে আস্তে প্রক্রিয়াজাত করব, আগাব। তিন মাসের মধ্যে করার কথা, কাজেই দুই মাস পরে গিয়ে তখন সত্যিকার অর্থে একটা রূপরেখা পাব। আমাদের মধ্যে আলোচনা করতে হবে, আমরা তো এটা আলোচনা করে করেই এগোবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— আলোচনা করব, বিভিন্ন এলাকায় যাব। জনগণের কথা শুনব। স্থানীয় যারা চাকরিবাকরি করে তাদের কথা শুনব। চেম্বারের সঙ্গে আলোচনা করব। এসব আলোচনা করেই আমরা প্রকৃত কাজ শুরু করব।’

চাকরিতে তদবির আমাদের বাস্তবতা, ‘অনেক ক্ষেত্রে ঘুষের কথাও আসে। এ বিষয়ে আপনারা কি সংস্কার আনতে চাচ্ছেন— জানতে চাইলে মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, কী করতে পারব, সেটা এখন কীভাবে বলব? আমি কি ফুঁ দিলে এখন বাংলাদেশের সব মানুষ সৎ হয়ে যাবে? আমরা নিজেরাই তো আলাপ-আলোচনা করছি। সময় লাগবে।’

আপনাদের অগ্রাধিকার কী— এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কমিটির প্রধান বলেন, ‘সরকার যেটা ঠিক করে দিয়েছে সেটাই আমাদের অগ্রাধিকার। আমাদের অগ্রাধিকার কী হবে, সেটাই নির্ধারণ করতে আমাদের একমাস যাবে। আমি সেটা আজ কীভাবে বলব?’

তিন মাসের মধ্যে সংস্কারের সুপারিশ প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবেন কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকার তিন মাস সময় দিয়েছে। আমাদের অবশ্যই চেষ্টা থাকবে তিন মাসের মধ্যেই শেষ করার।’

এসএইচআর/এমজে