ইলিশ বা ইংরেজিতে হিলশা। ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ, যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘টেনুলোসা ইলিশা’, পূর্বে ‘হিলসা বা ইলিশা’ নামে পরিচিত ছিল। তিন অক্ষরের এ মাছ বর্তমানে টক অব দ্য কান্ট্রি। শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যেও বেশ আলোচনায় এ মাছ। মূলত সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে অর্থাৎ শরৎকালে ইলিশ মাছ খাওয়ার ‘হুজুগ’ তৈরি হয়। এ ছাড়া, প্রতিবেশী দেশটিতে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু এ ইলিশেই এখন বিপত্তি! 

নানা নাটকীয় ঘটনা থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতির অংশ হয়ে উঠেছে পদ্মার রুপালি ইলিশ। এক মাছে এক পারের মানুষের মুখে হাসি ফুটলেও অপর পারের মানুষের মুখে দেখা যায় বেদনার ছাপ।

সেপ্টেম্বরের শেষদিকে কলকাতায় পৌঁছে বাংলাদেশের এ রুপালি শস্য। কলকাতাসহ শহরতলির ছোট-বড় বাজারে মিলছে বাংলাদেশি ইলিশ। মূলত পূজা শুরুর আগেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন বাজারে হাজির হয় পদ্মার ইলিশ। কলকাতা, হাওড়াসহ রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে দেদার মিলছে এই মাছ। দামও রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম এবং দেশটির মানুষের হাতের নাগালে। ফলে স্বাভাবিকভাবে মুখে হাসি ফুটছে ভোজনরসিক কলকাতার বাঙালির। ওপার বাংলার চিত্র এমন আনন্দময় হলেও এপার বাংলাখ্যাত ঢাকার চিত্র ঠিক উল্টো।

একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে পদ্মার ইলিশে ভালোভাবে পাওয়া যাচ্ছে। বেশিরভাগ ইলিশই এক কেজি ওজনের থেকে কিছুটা বেশি। কলকাতার হাওড়া, পাতিপুকুর, বারাসাত, শিয়ালদা বাজারে পদ্মার ইলিশে সমারোহ। এ ছাড়া, দেশটির বিভিন্ন জেলার বাজারেও এই মাছের উপস্থিতি দেখা গেছে। ওজন ও মানভেদে মাছটির দাম পড়ছে এক হাজার থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত।

অপরদিকে, বাংলাদেশে ইলিশ এখন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে। সম্প্রতি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির খবরের পর বাজারে যেন আরও অস্বস্তি দেখা দিয়েছে। আড়তগুলোতে বেড়ে যায় ইলিশের দাম। পাশাপাশি কমে স্থানীয় পর্যায়ে ইলিশের সরবরাহ।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রপ্তানি সিদ্ধান্তের পর এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে মাছের বাজারে। এত দাম দিয়ে কোনো অবস্থায় সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ খাওয়ার উপায় নেই। বাংলাদেশেরই জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) পণ্যটির উচ্চমূল্য নিয়ে হতাশ সব শ্রেণির ক্রেতারা। ছোট ছোট বাজার থেকে শুরু করে দেশের অভিজাত সুপারশপগুলোও এই উচ্চমূল্যে পিছিয়ে নেই।

মূলত একদিকে আহরণ কম, অন্যদিকে অল্প সময়ের নোটিশে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির অনুমোদনে লাফিয়ে বাড়তে থাকে দাম। এ ছাড়া সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি ও অবৈধভাবে পাচারও এর পেছনে দায়ী। সবমিলিয়ে পুরো ভরা মৌসুমেও ইলিশের দাম বাড়তি রয়েছে।

এদিকে এ বছর ইলিশ কম ধরা পড়ায় মৌসুমের শুরু থেকেই দাম বেশি ছিল ইলিশের। যেখানে ২০২৩ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশে ইলিশ আহরণ হয়েছে ৮১ হাজার ৮৭৬ মেট্রিক টন, একই সময়ে ২০২৪ সালে ইলিশ আহরণ হয়েছে ৫৬ হাজার ২৭৩ মেট্রিক টন।

দেশের আইন অনুযায়ী ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ হলেও দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ এবং জামাইষষ্ঠীর সময় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৫ আগস্ট এক গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনা সরকারের। দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর সাধারণ মানুষ যেন কম দামে ইলিশ খেতে পারেন সেজন্য ফের ভারতে সুস্বাদু এই মাছ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় নতুন সরকার। 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর আগে দেশের মানুষ ইলিশ খাবে তারপর রপ্তানি— এমন ঘোষণা দিয়েছিলেন ফরিদা আখতার। কিন্তু ২১ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, তিন হাজার মেট্রিক টন ইলিশ বাংলাদেশ থেকে ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে তারা। তারপর থেকেই সাধারণ মানুষের কম দামে ইলিশ খাওয়ার চিন্তায় গুড়ে বালি! আর এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশের সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

তবে কি বাংলাদেশের মানুষ আগে ইলিশ খাবে তারপর রপ্তানি হবে— এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলো সরকার? এমনসহ নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে। আর পরদিন থেকেই ইলিশের বাজারের আগুন যেন তার উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সব বাজারেই ইলিশের চড়া দাম দেখা গেছে। এছাড়া সচরাচর এই দাম আর কমারও কোনো সম্ভাবনা নেই।

কী বলছেন বাংলাদেশের ক্রেতারা

বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতি বছরই দুর্গাপূজার আগে দেশের বাজারে ইলিশের দাম বেড়ে যায়। একই সঙ্গে আলোচনায় আসে ভারতে ইলিশ রপ্তানির প্রসঙ্গ। দুই দেশের কূটনীতিতে ইলিশকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হলেও তা থেকে দেশের সাধারণ মানুষের খুব একটা উপকার হয় না। বরং এ নিয়ে আলোচনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ইলিশের দামও বাড়তে থাকে। এর সঙ্গে চোরাইপথে ইলিশ পাচারও বাড়তে থাকে। চলতি বছরও সীমান্তে ইলিশের এমন কিছু চালান ধরা পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে।

শ্রাবনের শেষ থেকে আশ্বিন মাস পর্যন্ত সময়টাকে সাধারণত ইলিশের মৌসুম বলে ধরা হয়। স্বাভাবিকভাবে এই সময়ে বাজারে ইলিশ মাছের পরিমাণ যেমন বেশি থাকে, তেমনি দামও থাকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে। তবে এ বছর পুরো সময়জুড়েই ব্যতিক্রম চিত্র সব হাট-বাজারে। বাজারে মাছের পরিমাণ কম, দামও বেশি। চড়া দামের কারণে বেশিরভাগ মানুষই ইলিশ কিনতে করতে পারছেন না। ভরা মৌসুমে মাছের দাম না কমায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।

সাধারণ ক্রেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী— ইলিশ তো ধরাই যায় না, ধরতে গেলেই ছ্যাকা লাগে। দাম শুনেই চোখ কপালে ওঠার দশা!

পদ্মার ইলিশ মাছের প্রতি বাঙালির তীব্র আবেগ থাকলেও আকাশছোঁয়া দাম হওয়ায় টান পড়েছে সাধারণ মানুষের পকেটে। তবে বিক্রি যেটুকু হয়েছে এর সিংহভাগই গিয়েছে বিত্তবানদের হেঁসেলে।

সাধারণ ক্রেতা ফারুক জানান, ইলিশের বাজারে নৈরাজ্যের কারণে আমরা মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা ঠিকমতো ইলিশ মাছ কিনতে পারি না। অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বড় ইলিশ মজুদ ও দেশের বাইরে পাঠিয়ে স্থানীয়ভাবে ছোট ইলিশের দামের ওপর কৃত্রিম চাপ তৈরি করে। এর ফলে ছোট সাইজের ইলিশের দাম বেড়েছে। যা বর্তমানে আমাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে।

গৃহিণী শারমিন আক্তার জানান, ইলিশ মাছের দাম আমার বাজেটের বাইরে, ছোট ইলিশের দামও অনেক বেশি। মাছ তো কিনতে হবে, তাই এখন পুকুরে চাষ করা মাছ কিনে খাই।

ক্রেতা সাইফুল আলম জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং না করার ফলাফল হচ্ছে ইলিশের বাজারে নৈরাজ্য। বিক্রেতারা সব সময়ই সুযোগসন্ধানী। তাদের অজুহাতের শেষ নেই। ভারতে সরকারিভাবে ইলিশ মাছ রপ্তানির খবর শুনেই ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছেন। ইলিশের কি আকাল চলছে? যে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করতে হবে।

আক্ষেপ করে নিম্নআয়ের মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাজারে ইলিশ মাছ কিনতে গিয়ে পোয়া মাছ কিনে বাড়ি নিয়ে আসি। ইলিশ এখন নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের সাধ্যের বাইরে। আমরা শুধু তাকিয়ে দেখি আর দাম জিজ্ঞেস করে চলে আসি। পরিবারকে ইলিশ না খাওয়াতে পারার আক্ষেপও করেন এ ক্রেতা।

কী বলছেন কলকাতার ক্রেতারা

গত কয়েকদিন আগে রপ্তানি বন্ধের খবরে কলকাতায় পদ্মার ইলিশের সরবরাহে কিছুটা ভাটা পড়লেও ফের রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে জমজমাট হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ইলিশে। ছোট বড় প্রায় সব বাজারেই বাংলাদেশের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া, বাজারে স্থানীয় ডায়মন্ড হারবার অথবা মায়ানমারের ইলিশ, স্থানীয় নদীর ইলিশ রয়েছে। পূজাকে কেন্দ্র করে ক্রেতাদের মধ্যে বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশ কেনার এক ধরণের উন্মাদনা লক্ষ করা গেছে। 

সাধারণ ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদ ও আকৃতির ভিন্নতা নিয়ে কলকাতার ক্রেতাদের অনেক আগ্রহ। পদ্মার ইলিশের স্বাদ সম্পর্কে বিশেষভাবে প্রশংসা করে থাকেন কলকাতাবাসী। এ ইলিশের ওজন বেশি হওয়ায় এবং স্বাদে অপূর্ব হওয়ার কারণে বেশি আগ্রহী হন ক্রেতারা। বাজারে আসা ক্রেতারা নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের ইলিশ কিনছেন। এককথায় উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা গেছে।

শ্যামল দত্ত নামে এক ক্রেতা বলেন, পদ্মার ইলিশের দাম কিছুটা বেশি হলেও স্বাদ অনেক। তাই বাংলাদেশের ইলিশের প্রতি আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে।

অনিল রায় নামে আরেক ক্রেতা বলেন, বাংলাদেশের ইলিশ একটু লম্বা হয়। আর এ ইলিশের স্বাদই আলাদা, তুলনাহীন। যারা ইলিশ কেনেন, তারা দামের চিন্তা করেন না। 

মাছ ব্যবসায়ী সামন্তলাল বলেন, বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশের ওজন এক কেজি থেকে ১.৮ কেজি পর্যন্ত হয়, যেখানে গঙ্গার ইলিশের ওজন সাধারণত ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামের মধ্যে থাকে। এ ছাড়া, পদ্মার ইলিশের ওজন এবং স্বাদ গঙ্গার ইলিশের তুলনায় অনেক ভালো। 

দাম চড়া হলেও ঠকছেন জেলেরা

বাজারে ইলিশের দাম চড়া হলেও ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অধিকাংশ জেলের। শুধু একদিনই নয়, প্রতিদিনই জেলেদের কাছ থেকে ভোক্তাপর্যায়ে পৌঁছাতে বেশ কয়েকটি ধাপ পার হতে হয় ইলিশের। প্রতি ধাপেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ানো হয় দাম। খাজনা, পরিবহন খরচ, শ্রমিকের মজুরি আর লাভের কথা মুখে বললেও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের।

জেলেদের কাছ থেকে কমপক্ষে তিন থেকে চারটি হাত ঘুরে একজন ক্রেতার হাতে ইলিশ যায়। আড়তদাররাও কত টাকায় প্রতি মণ মাছ কিনে কত টাকায় বিক্রি করছেন, তা জানাতেও রাজি ননি।

জেলে মো. রফিক মাঝি বলেন, আমরা তো মাছের ন্যায্য দাম পাই না। খালি শুনি বাজারে নাকি ইলিশের দাম চড়া যায়, কই আমাগো পর্যন্ত তো পৌঁছায় না। 

বাবুল নামে আরেক মাঝি বলেন, ইলিশ মাছের দাম কই বাড়ছে? আড়তে আগেও যে দামে বেচতাম এখনো এই দামেই বেচি (বিক্রি করেন)। নদীতে মাছ মোটামুটি ভালোই পাচ্ছি। তবে গত কয়েকদিন ধইরা বড় ইলিশের অনেক চাহিদা।

নীরব নামে আরেক মাঝি বলেন, শুনেছি বাজারে ইলিশের দাম বাড়ছে। কিন্তু বাড়তি দামে আমরা আড়তে ইলিশ বিক্রি করতে পারি না। আবার যত টাকার মাছ বিক্রি করি তার ওপর ১০ ভাগ কমিশন কেটে রাখেন আড়তদার, সব লাভ আড়তদারদের।

আড়ত মালিকরা বলছেন, বড় ইলিশের দাম বেশি হলেও প্রচুর চাহিদা। পাইকাররা দাম বেশি দিয়ে হলেও বড় ইলিশ কিনছেন। তারা ভারতে রপ্তানির উদ্দেশ্যে মাছ কেনেন। 

ইলিশ রপ্তানিতে যত নিষেধাজ্ঞা

বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশে। পরিসংখ্যান মতে, বিশ্বের মোট ইলিশ উৎপাদনের ৮৬ শতাংশই বাংলাদেশে হয়। তারপরও বাংলাদেশে ইলিশের দাম থাকে আকাশছোঁয়া। দেশের নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা অতিরিক্ত দামের কারণে মাছের রাজা ইলিশের স্বাদ নিতে পারে না।

২০২৪ সালের নিষেধাজ্ঞার আগেও ২০১২ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। মূলত ভারত তিস্তা নদীর পানির সুসম বণ্টন না করায় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

তবে নয়াদিল্লি তিস্তার পানির সুরাহা না করলেও নিজ উদ্যোগে দুর্গাপূজা, পহেলা বৈশাখ এবং জামাইষষ্ঠীর সময় পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ পাঠাতেন শেখ হাসিনা।

এরপর ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলিশ রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২১ অক্টোবর ৯টি ট্রাকে করে ৪৫ টন ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যায়। ওই সময় ৭৯টি মৎস্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানকে ভারতে তিন হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়।

এমজে