জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন থেকে অনুদান
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত ৩০ জন পেলেন ৩০ লাখ টাকা
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে আহত ৩০ জনকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আহত প্রত্যেকের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বার্ন ইউনিটের ছয় তলায় ৬১৭ নম্বর রুমে এই চেক হস্তান্তর করা হয়।
বিজ্ঞাপন
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম,আসিফ মাহমুদ সজীব ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শহিদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ।।
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক স্নিগ্ধ বলেন, আমরা একটি ফাউন্ডেশন করেছিলাম। সেখানে আমাদের ঘোষণা ছিল শহীদদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া, তাদেরকে আরো আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ৩৩ জনকে ৩৩ লাখ টাকার চেক এবং পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৫৯ জনের কাছে বিকাশের মাধ্যমে ৫৯ লাখ টাকা চলে যাবে। এখন পর্যন্ত আমরা এক কোটি ৭১ লাখ ৪২ হাজার ৫০ টাকা সহায়তা করেছি।
সাংবাদিকদের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম জানান, যারা আহত আছেন তারা সবাই বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেলে আসার আগে অনেকে বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা সেবা নিয়ে আসছেন সেখানে তাদের টাকা খরচ হয়েছে। খরচের ওই ডকুমেন্ট আমরা তাদেরকে রাখতে বলেছি এবং আমরা এই ডকুমেন্টগুলো নিচ্ছি। কারণ, আমরা সরকার থেকে ঘোষণা করেছি যারা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিল আমরা পরিশোধ করে দেব।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে তারা (আহতরা) দুই মাসের অধিক সময় ধরে আছে, তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে ট্রমাটাইজড। তাদের ভবিষ্যৎ আছে তারা সামনে কীভাবে আগাবে, তা নিয়ে একটা দুশ্চিন্তা তৈরি হয়েছে। তাদের সব দায়িত্ব নেওয়া হবে এবং সবসময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের ফাউন্ডেশনের কাজ অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছি। মধ্যে কিছুদিন গ্যাপ ছিল। আহত এবং নিহতদের জন্য ওয়েবসাইটে ডাটাবেজ তৈরি করেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য অর্জন করার সময়। ঢাকা কাভার করে আমরা ঢাকার বাইরে কাজ শুরু করব। যারা প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি। আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সবার জন্য আমরা একটি হেল্প-লাইনের ব্যবস্থা করেছি। হেল্প-লাইন নম্বর ১৬০০০।
আহত এবং নিহত পরিবারদের যেকোনো ধরনের আইনি সমস্যা ও আর্থিক সমস্যা জানানোর জন্য এই হটলাইনে ফোন দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।
এসএএ/এমজে