ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, অবৈধ দখলদারদের জন্য কোনো নোটিশ দেওয়া হবে না। আমি যাব এবং ভাঙব।

শনিবার (১৫ মে) গুলশানে ডিএনসিসি নগর ভবনে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

মেয়র বলেন, অনেক অনেক রাস্তা দখল হয়ে গেছে। আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করছি। ভাষানটেক বাজার থেকে ক্যান্টনমেন্ট সংযোগ সড়কের মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী একটি স্থাপনা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি উচ্ছেদ এবং ক্রয় করে সড়ক সম্প্রসারণ করেছি। আমি বলব সিটি করপোরেশনের রাস্তা কেউ দখল করে যদি বাড়ি করে থাকেন, তাহলে ভুল করেছেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের চিরুনি অভিযান অব্যাহত আছে। একেকটি অভিযান পরিচালনা করতে আমাদের প্রায় এক কোটি টাকার মতো খরচ হয়। এরপরেও আমরা সবসময় চেষ্টা করি এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য। গতবছরও আমরা সাতবার চিরুনি অভিযান পরিচালনা করেছি। নগরবাসীকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করব, তিন দিনে একদিন, জমা পানি ফেলে দিন। এডিশ মশা আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য আমাদেরকে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, রাজধানীতে লিফট সম্বলিত পাঁচটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে। এজন্য এরইমধ্যে স্থান নির্দিষ্ট করাও হয়েছে। বিদ্যমান একটি এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজসহ আরও সাতটি এস্কেলেটর সম্বলিত ব্রিজও নির্মাণের কাজ চলছে। সংবাদ সম্মেলনে আতিক তার দায়িত্বকালে নগরী ও নগরবাসীর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রকল্প ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। 

প্রকৌশল বিভাগের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে গিয়ে আতিক বলেন, পাঁচটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হবে যেগুলোতে ‘ইনক্লুসিভ’ভাবে লিফট থাকবে। প্রগতি স্মরণীতে শহীদ আবরার ফুটওভার ব্রিজে এস্কেলেটর আছে। আরও সাতটি ফুটওভার ব্রিজ তৈরি করা হচ্ছে যেগুলোতে এস্কেলেটর থাকবে। এছাড়াও আমরা আমাদের ২৪টি পার্কের মধ্যে ছয়টি পার্ক দখলমুক্ত করেছি; আরও ১৮টি উদ্ধারে কাজ চলছে। নতুন ১৮টি পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করা হবে। ১১ কিলোমিটার সাইকেল লেন তৈরি করে দিয়েছি আমরা। ডিএনসিসির বিভিন্ন সড়কে ৪৬ হাজার লাইট স্থাপনে কাজ করছি, এরইমধ্যে ২৮ হাজার লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

এসময় ডিএনসিসিতে কর প্রদান প্রক্রিয়া পুরোপুরিভাবে ক্যাশলেস এবং ডিজিটাল করতে কাজ করে যাওয়ারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিরি প্রধান নির্বাহী সেলিম রেজা, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশল কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিরুল ইসলামসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এএসএস/জেডএস