রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডে পদোন্নতি বঞ্চিত ও আওয়ামী লীগ আমলে শ্রমিক-কর্মচারীদের বদলি হয়রানি নিয়ে চরম শ্রম অসন্তোষ বিরাজ করছে। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিলেও মিলছে না সুরাহা। উল্টো আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত মেঘনা পেট্রোলিয়াম শ্রমিক ইউনিয়নের (সিবিএ) নেতারা সাধারণ কর্মচারী-শ্রমিকদের হয়রানি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

এসব বিষয়ে মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দপ্তরের সামনে সমাবেশ করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিক-কর্মচারীরা। মেঘনা পেট্রোলিয়াম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ব্যানারে এ সমাবেশ হয়।

শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো– পদোন্নতি বঞ্চিতদের পদোন্নতি দেওয়া, হয়রানিমূলক বদলি আদেশ বাতিল পূর্বক স্ব স্ব কর্মস্থলে ফিরিয়ে দেওয়া, তদন্ত কমিটি গঠন করে শ্রমিক কর্মচারীদের সামগ্রিক বৈষম্য নিরসন ও হয়রানি বন্ধ করা, দুর্নীতি-অনিয়ম বন্ধ করা ও  আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত সিবিএ নেতারা এখনও বহাল তবিয়তে আছে, তাদের অপসারণ করা।

মেঘনা পেট্রোলিয়াম এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নওশেদ জামাল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। কোম্পানির এমডি ন্যায় পরায়ণ না হওয়ার কারণে শ্রমিক-কর্মচারীদের যখন তখন নির্বিচারে অমানবিকভাবে বদলি করেছে। সারা বছর শ্রমিক-কর্মচারীরা বদলি আতঙ্কে দিন কাটিয়েছে। বছর শেষে প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে সিবিএর বিরোধী হওয়ার কারণে বঞ্চিত হয়েছে। অনতিবিলম্বে তদন্ত কমিটি গঠন করে সব বৈষম্য নিরসন দাবি জানিয়েছেন এই নেতা।

তিনি বলেন, আমাদের দাবিগুলো নিয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে গিয়েছিলাম। তার কাছে দীর্ঘ দুই মাস ধরনা দিয়েছি। তিনি কথা দিয়েও কথা রাখেননি। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পরও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে বৈষম্য জিইয়ে রেখেছে তারা। সিবিএ নেতাদের ইশারায় কর্মকর্তারা শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে।

মো. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মো. নুর নবীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন মো. ইমরান, মো. মইনুল ইসলাম ও মাসুক মাহতাব প্রমুখ।

আরএমএন/এসএসএইচ