তিন দফা দাবি জানিয়েছেন বিগত সরকারের আমলে সশস্ত্র বাহিনীর চাকরিচ্যুত সদস্যরা। আজ (বুধবার) প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনী সদস্যদের পক্ষে তাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিগত সরকার স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম রাখতে সামরিক বাহিনীর কতিপয় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে সামরিক বাহিনীতে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে শত শত সামরিক বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করেছে, বঞ্চিত করেছে প্রাপ্য পেনশন থেকে, এমনকি জোর পূর্বক ইউনিট কোয়ার্টার গার্ড ও তথাকথিত আয়না ঘরে বন্দী করে অমানবিক নির্যাতন করেছে।

তিনি বলেন,সেনাবাহিনীতে এখনো ব্রিটিশ সামরিক আইন বলবৎ রয়েছে,যা যুক্তিহীন। এই আইনের ধারায় নানা সময়ে সেনাসদস্যদের চাকরিচ্যুত করা হয়। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধানসহ বিভিন্ন খাত সংস্কারে উদ্যোগ নিয়েছে, সেখানে সেনাবাহিনীর এই ব্রিটিশ সামরিক আইনও সংস্কার করা উচিত।

তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীর একটা নিয়ম হচ্ছে যে স্ত্রী কর্তৃক কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তা যথাযথ তদন্ত না করেই সে সেনাসদস্যকে চাকরি হারাতে হয়। এমনকি স্ত্রী যদি পরে সে অভিযোগ তুলে নিতে চায়, তখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অভিযোগ অব্যাহত রেখে চাকরিচ্যুত করে।
একজন সামরিক বাহিনীর সদস্যকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে স্বৈরশাসন ব্যবস্থা কায়েম করে আসছেন কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা। 

সংবাদ সম্মেলনে তারা যে ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন তা হলো—
• চাকরিচ্যুত সময় থেকে অদ্যাবধি সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধাসহ চাকরি পুনর্বহাল করতে হবে।

• যদি সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুনর্বহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে উক্ত সদস্যদের সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে।

• যে আইন কাঠামো ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র সেনাসদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে।

ওএফএ/এনএফ