বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অগ্নিসংযোগ করা হলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন / ছবি : সংগৃহীত

অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতেই বন্ধ থাকা মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন যাত্রী পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তারা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহেই মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনের প্রস্তুতির বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হবে।

এর আগে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। এরপরই দীর্ঘ সময়ের জন্য অনিশ্চিত হয়ে যায় মেট্রোরেল চলাচল। ৩৭ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৫ আগস্ট ফের চালু হয় মেট্রোরেল। তবে, বন্ধ রাখা হয় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশন। এরও ২৬ দিন পর কাজীপাড়া স্টেশন চালু করা হয়। তবে, মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু করা সম্ভব হয়নি।

ডিএমটিসিএলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানান, স্টেশনের ক্ষতিগ্রস্ত সরঞ্জামগুলোর বেশিরভাগ বিকল্প হিসেবে তুলনামূলকভাবে কম ব্যবহৃত দুই স্টেশন এবং মেট্রোরেল প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের জন্য বিজয় সরণি ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন থেকে কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। এবং ডিএমটিসিএলের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট থেকেও কিছু যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।

তারা আরও জানান, সড়ক পরিবহন ও সেতু উপদেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিরপুর-১০ স্টেশন পুনরায় চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত সব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল এবং আবার বিদেশ থেকে এনে সেগুলো প্রতিস্থাপন করা দীর্ঘ ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। সময় বাঁচাতে মেট্রো স্টেশনের অফিসের জানালার জন্য গ্লাস আমদানি না করে স্থানীয় গ্লাস ব্যবহার করা হচ্ছে।

ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ বলেন, অক্টোবরের মাঝামাঝি মিরপুর-১০ স্টেশনটি চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্টেশনটি চালুর চেষ্টা করছি। শিগগিরই স্টেশনটির প্রস্তুতির বিষয়ে পরীক্ষা করা হবে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সবকিছু জানানোর পর আমিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব।

এমএইচএন/কেএ