অতীতের বৈষম্য দূর করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়সহ অধীনস্থ প্রতিষ্ঠানগুলোতে গণপরিবহনের আইন ও বিধি-বিধান তৈরি, ভাড়া নির্ধারণ, গণপরিবহনের যাত্রীসাধারণের সুযোগ-সুবিধা নির্ধারণসহ যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস মালিক সমিতি, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের পাশাপাশি অংশীজন হিসেবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে রাখার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার (৮ অক্টোবর) বিকেলে রেল ভবনে রেলপথ উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে বলা হয়, সড়ক পরিবহনের প্রধানতম স্টেকহোল্ডার যাত্রী বা জনগণ, বাস মালিক সমিতি, শ্রমিক সংগঠন এবং সরকার। জনসাধারণের নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করা বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও সরকারের অন্যতম প্রধান কাজ। এই কাজের একমাত্র রাজস্ব যোগানদাতা যাত্রী তথা দেশের জনগণ। অথচ যাত্রীসেবার জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণ, নতুন নতুন ব্রিজ, কালভার্ট, রাস্তাঘাট নির্মাণ ও মেরামত, বাসের ভাড়া নির্ধারণ, সড়ক নিরাপত্তায় নানান পদক্ষেপ গ্রহণসহ যাত্রীস্বার্থ সংশ্লিষ্ট সব সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বাস মালিক সমিতি, পরিবহন শ্রমিক সংগঠন ও বিগত সরকার মিলেমিশে কাজ করেছে। এতে করে পরিবহন খাতে নির্লজ্জ দলীয়করণ, চাদাঁবাজি, ধান্ধাবাজি, বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা চরম আকার ধারণ করেছে। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রতিটি ফোরামে যাত্রী সংগঠন তথা জনসাধারনের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, বিগত সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, মালিক-শ্রমিকদের তোষামোদীর প্রতিবাদ করায় বিগত সরকারের সেতুমন্ত্রী বিরাগভাজন হওয়ায় যাত্রী কল্যাণ সমিতিকে সেতু মন্ত্রণালয় এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়। গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারের বিদায়ের পরও নতুন সরকারের সময়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সহযোগী সংস্থা- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি), সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর (সওজ), ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষে (ডিটিসিএ) যাত্রী তথা জনগণের প্রতিনিধিত্ব এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

পরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেল মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্ঠা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, এখন থেকে মন্ত্রণালয়ে সব বৈষম্য দূর করা হবে। যাত্রীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। 

একইসঙ্গে তিনি মন্ত্রণালয়ের সংস্কার কার্যক্রমে যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহযোগিতা কামনা করেন।  

এ সময় যাত্রী কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আবদুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, প্রচার সম্পাদক মাহামুদুল হাসান রাসেল উপস্থিত ছিলেন।

এমএইচএন/কেএ