২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ঢাকার চালকদের নামে ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা রেজিস্ট্রেশন বরাদ্দ দিয়েছিল। এছাড়া চট্টগ্রামের জন্য ৪ হাজার অটোরিকশা প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু অটোরিকশা মালিক সমিতির প্রতিবন্ধকতার কারণে এখনো চালকদের কাছে সেই অটোরিকশাগুলো হস্তান্তর করা হয়নি। তাই ঢাকার জন্য ৫ হাজার অটোরিকশার রেজিস্ট্রেশন অনতিবিলম্বে হস্তান্তর করা ও চট্টগ্রামের জন্য প্রস্তাবিত ৪ হাজার সিএনজি অটোরিকশার ব্যবস্থা করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে অটোরিকশা হালকা যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা থেকে এসব দাবি জানান ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম ফারুক।

ফেডারেশনের অন্যান্য দাবিগুলো হচ্ছে— ১৯৮০ সালে পাশ করা চালকদের নিয়োগপত্র আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর দাখিল করা ২১টি ধারা সংশোধন করে সর্বজনীন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করতে হবে; সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সড়ক মহাসড়কে বাইলেন ও ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকল্পে সরকারিভাবে চালকদেরকে ট্রাফিক আইন সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিতে হবে; অটোরিকশা পরিবহন সার্ভিস নীতিমালা ২০০৭ ও প্রজ্ঞাপনের নিয়ম ব্যতিরেখে অটোরিকশা মালিকদের অতিরিক্ত দৈনিক জমা (টাকা), গ্যারেজ ভাড়া, দারোয়ানের বেতনের নামে চালকদের কাছ থেকে আদায় করা অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়া সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর এবং বিআরটিএর সদর কার্যালয় ২১ অক্টোবর প্রস্তাব অনুযায়ী অটোরিকশা (থ্রি হুইলার) শ্রমিক প্রতিনিধিদের জেলা আরটিসি কমিটিতে সদস্য অন্তর্ভুক্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে ও ফেডারেশনকে সড়ক দুর্ঘটনার ট্রাস্টিবোর্ডের সদস্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলে ফেডারেশনকে সদস্য অন্তর্ভুক্তি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে ২০১৮ সালের ২৬ এপ্রিল এবং বিআরটিএর সদর কার্যালয়ের ২৪ মের প্রস্তাব অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে; পরিবহন শ্রমিকদের জন্য শ্রমিক কল্যাণ তহবিল আইন বাস্তবায়ন করতে হবে; পুলিশ অহরহ মামলার নামে হয়রানি, বিআরটিএর দুর্নীতিমুক্ত পরিবহন শিল্প চাই। গাড়ি রিকুইজিশনের সময় গাড়ির জ্বালানি ও চালকদের বেতন খোরাকি দিতে হবে এবং জেলা ও উপজেলায় চালক ও যাত্রীর সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে অটোরিকশা পার্কিং স্ট্যান্ড স্থাপন করতে হবে।

এমএইচএন/পিএইচ