অবিলম্বে নিরাপত্তা সমস্যার সমাধান করে তিন পার্বত্য জেলার ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশন। একইসাথে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে পর্যটন কর্মীদের সুরক্ষায় রেশন ও নগদ সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করার আহ্বানও জানিয়েছেন তারা। 

সোমবার (৭ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ট্যুরিজম অ্যান্ড হোটেলস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের আহ্বায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ এবং সদস্য সচিব আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, পর্যটন মৌসুমের সময়ে তিন পার্বত্য জেলায় নিরাপত্তা সমস্যা তৈরি হওয়া এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় উদ্বেগের বিষয়। পর্যটকের সেবা ও বিনোদন এবং পর্যটন কর্মী বান্ধব নীতির অভাবে অফুরন্ত সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় বিকশিত হয়নি। শুধুমাত্র ধর্মীয় বা বাৎসরিক ছুটির সময় ছাড়া পর্যটন সংশ্লিষ্টদের আয়ের পরিমাণ খুবই সামান্য। আবার নির্দিষ্ট মজুরি কাঠামো না থাকায় পর্যটকদের দেওয়া সার্ভিস চার্জের উপরেই পর্যটন কর্মীরা টিকে থাকে। এবছর পূজায় একদিনের সরকারি ছুটির সঙ্গে সপ্তাহান্তের আরও দুদিন মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি মিলেছে। ফলে ১০ থেকে ১৩ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিনে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলায় আবাসিক হোটেল, মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কয়েক হাজার পর্যটকের টানা বুকিং ছিল।

তারা বলেন, এই ছুটিতে বেড়ানোর জন্য টুরিস্ট গাড়িও আগাম বুকিং করেছিলেন পর্যটকরা। এই অবস্থায় বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি— এই তিন পাহাড়ি জেলার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাজনিত কারণে আগামী ৮ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আপাতত ২৪ দিনের জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।  

তারা দাবি করেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জারি করা এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তিন পার্বত্য জেলায় কর্মরত পর্যটন কর্মীদের অসহায় পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এমন অবস্থায় নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সুরক্ষা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তাই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সময়ে পর্যটন কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের মৌলিক চাহিদার সুরক্ষায় রেশনের ও নগদ সহায়তা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান তারা।

একইসঙ্গে নিরাপত্তা সমস্যার সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুততম সময়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জোর দাবিও জানানো হয়েছে।

আরএইচটি/জেডএস